মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। — ফাইল চিত্র।
কিছু দিন আগেই বিলাসবহুল রোলস রয়েস গাড়ি নিয়ে রাঁচীর রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। আবার তাঁকে পুরনো দিনের একটি গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়তে দেখা গেল। সেই ছবি যথারীতি ভক্তদের চোখ এড়ায়নি। ধোনির গাড়ি চালানোর ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে।
ধোনি যে গাড়িটি চালাচ্ছেন, সেটি হল পন্টিয়াক ট্রান্স-অ্যাম ১৯৭৩। লাল রংয়ের সুদৃশ্য গাড়িটি ধোনিকে চালাতে দেখা গিয়েছে। তিনি একাই গাড়িটিতে রয়েছেন। তাঁর পরনে একটি সানগ্লাস এবং স্লিভলেস টি-শার্ট। এই গাড়িটি আগে প্রকাশ্যে আসেনি।
কিছু দিন আগেই রাঁচীর একটি হাইওয়েতে নীল রঙের একটি রোলস রয়েস গাড়ি চালাতে দেখা গিয়েছিল ধোনিকে। এক ভক্ত দাবি করেন, গাড়িটি ১৯৮০ সালের। অর্থাৎ ৪৩ বছরের পুরনো। এখনকার দিনে এই মডেলের রোলস রয়েস আর পাওয়াই যায় না। ধোনি সেই গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছিলেন।
এ দিকে, কিছু দিন আগে ধোনির বাড়িতে গিয়ে তাঁর বাইকের সংগ্রহ দেখে অবাক হয়ে যান প্রাক্তন বোলার বেঙ্কটেশ প্রসাদ। বাইকের প্রতি ধোনির ভালবাসা সকলেরই জানা। রাঁচীতে থাকলে বাইক নিয়ে মাঝেমধ্যেই বেরিয়ে পড়েন ধোনি। কিন্তু তিনি যে এত ধরনের বাইক নিজের বাড়িতে রেখেছেন, তা জানা ছিল না প্রসাদের। সমাজমাধ্যমে ধোনির বাইকের সেই ভিডিয়ো পোস্ট করে তিনি বলেছিলেন, “এক জন মানুষ নিজের ভালবাসার জিনিস নিয়ে এতটা পাগল হতে পারে, সেটা আমার জানা ছিল না। কী দুর্দান্ত সংগ্রহ! ধোনির পক্ষেই সম্ভব। ধোনির রাঁচীর বাড়িতে এই বাইকগুলো রয়েছে। আমি অবাক হয়ে গিয়েছি।”
প্রসাদ প্রথম বার ধোনির রাঁচীর বাড়িতে গিয়েছিলেন, এমন নয়। নিজেই জানিয়েছে, চার বার ধোনির বাড়িতে গিয়েছেন। প্রসাদ বলেছিলেন, “এটা প্রথম বার নয়। আমি এর আগে চার বার এসেছি এখানে। কিন্তু ধোনির এই বাইক রাখার জায়গাটা অবাক করে দেয়। কোনও মানুষ যদি একটি বিষয় নিয়ে পাগল হয়, তা হলেই এটা করা সম্ভব। এটাকে বাইকের শো রুমও বলা যেতে পারে।”
ধোনির ৫০টির বেশি বাইক রয়েছে। এর মধ্যে হারলে-ডেভিডসন, কাওয়াসাকি নিনজা, ডুকাটির মতো সংস্থার বাইক রয়েছে ভারতের প্রাক্তন অধিনায়কের বাড়িতে। সেখানেই গিয়েছিলেন প্রাক্তন জাতীয় নির্বাচক প্রসাদ। ভারতের হয়ে ৩৩টি টেস্ট এবং ১৬১টি এক দিনের ম্যাচ খেলেছেন এই পেসার। ধোনিকে জিজ্ঞেস করা হয় এই বিশাল সংখ্যক বাইকের সংগ্রহ কেন তাঁর বাড়িতে? উত্তর ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বলেন, “এই বাড়িতে আমার নিজের বলতে এটাই। তা-ও বলা হয়েছিল ব্যাডমিন্টন কোর্টের পিছনে এটা বানাতে, আমি আগেই বানিয়েছি।”