দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শতরানের পর উচ্ছ্বাস ওয়ার্নারের। ছবি: আইসিসি।
শততম টেস্ট ম্যাচে অবিশ্বাস্য রেকর্ড লেখা হল অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নারের নামের পাশে। তিনিই নাকি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি! এই নজিরের পিছনে অবশ্য ওয়ার্নারের কোনও হাত নেই।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শততম টেস্ট খেলছেন ওয়ার্নার। ব্যাট হাতে দ্বিশতরানের ইনিংস খেলে স্মরণীয় করে রাখলেন ম্যাচটি। দ্বিশতরানের উচ্ছ্বাসের লাফ দিয়ে চোট পেলেন। পরে মাঠ ছাড়তেও বাধ্য হন। দ্বিশতরানের আগে সোমবার অস্ট্রেলিয়ার সম্প্রচারকারী সংস্থা ফক্স ক্রিকেট ওয়ার্নারের নামের পাশে লিখে দেয় অবিশ্বাস্য একটি রেকর্ড।
সোমবার খেলার মাঝে সব ধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ওয়ার্নারের পরিসংখ্যান দেখাচ্ছিল সম্প্রচারকারী সংস্থা। সে সময় টেলিভিশনের পর্দায় ফুটে উঠল ওয়ার্নার নাকি ১০০টি টেস্টে ৭৯২২টি উইকেট, ১৪১টি এক দিনের ম্যাচে ৬০০৭টি উইকেট এবং ৯৯টি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে ২৮৯৪টি উইকেট নিয়েছেন। দেশের হয়ে মোট ৩৪০টি ম্যাচে ওয়ার্নারের উইকেট সংখ্যা ১৬,৮২৩টি। অর্থাৎ, ম্যাচ প্রতি গড়ে ওয়ার্নার উইকেট নিয়েছেন ৪৯.৪৭টি। টেস্ট ম্যাচেও এক জন বোলারের পক্ষে সর্বোচ্চ ২০টি উইকেট নেওয়া সম্ভব। তা হলে ওয়ার্নার কী ভাবে ম্যাচ প্রতি ৪৯.৪৭টি উইকেট নিলেন?
প্রথমে অনেক ক্রিকেটপ্রেমী বিস্মিত হলেও তাঁরা ভুল বুঝতে পারেন দ্রুত। ম্যাচ সম্প্রচারকারী সংস্থা রানের জায়গায় উইকেট লিখে দেওয়ায় এই বিপত্তি। আসল পরিসংখ্যান হল, সেই সময়ের হিসাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ওয়ার্নারের মোট রান ছিল ১৬,৮২৩। আসল বিষয়টি বোঝা গেলেও সম্প্রচারকারী সংস্থার দেওয়া ভুল পরিসংখ্যানের ছবি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সমাজমাধ্যমে। ক্রিকেটপ্রেমীরা নানা রসিকতা শুরু করে দেন।
এক জন মন্তব্য করেন, ‘‘ওয়ার্নারের এই রেকর্ড অবিশ্বাস্য। তিনিই সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার। অন্য ক্রিকেটারদের কথা ছেড়ে দিন, সিনেমার রজনীকান্ত কি এই রেকর্ড ভাঙতে পারবেন?’’ অন্য এক জন আবার লিখেছেন, ‘‘কোনও সন্দেহ নেই। ওয়ার্নারই বিশ্বের সর্বকালের সেরা বোলার।’’ এক জন আবার লিখেছেন, ‘‘টেস্টে ওয়ার্নারের উইকেট সংখ্যা প্রায় আট হাজার!’’ অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য সম্প্রচারকারী সংস্থা পরে দুঃখপ্রকাশ করলেও ক্রিকেটপ্রেমীদের রসিকতা থামেনি।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ওয়ার্নারের ৪টি উইকেট রয়েছে। সব উইকেটই তিনি পেয়েছেন টেস্টে। তাঁর সেরা বোলিং ৪৫ রানে ২ উইকেট।