অভিমন্যু ঈশ্বরণ। —ফাইল চিত্র
পি সেন ট্রফিতে নিজেদের ম্যাচ জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল মোহনবাগান ও ভবানীপুর ক্লাব। মোহনবাগানের হয়ে ভাল ইনিংস খেললেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ। ভবানীপুরের হয়ে আবার ব্যাটে-বলে নায়ক ঋষি ধাওয়ান।
ইডেন গার্ডেন্সে এরিয়ান ক্লাবের হয়ে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুব ভাল করেন মোহনবাগানের দুই ওপেনার অভিমন্যু ও শাকির হাবিব গান্ধী। প্রথম উইকেটে ২৭১ রান করেন তাঁরা। অভিমন্যু ১১১ বলে ১৬১ রানের ইনিংস খেলেন। শাকিরও শতরান (১০৭) করেন। দুই ওপেনার আউট হওয়ার পরেও বাগানের রানের গতি কমেনি। শেষ দিকে দীপক পুনিয়া ২৫ বলে ৬১ ও অভিষেক পোড়েল ১৫ বলে ২৪ রান করে দলের রানকে ৪০০ পার করেন। শেষ পর্য়ন্ত ৪৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৪৩০ রান করে মোহনবাগান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি এরিয়ান। নিয়মিত ব্যবধানে তাদের উইকেট পড়তে থাকে। মাত্র ১৭০ রানে অলআউট হয়ে যায় গোটা দল। এরিয়ানের হয়ে অনুজ কুমার সিংহ সর্বাধিক ৩৯ রান করেন। মোহনবাগানের হয়ে দীপক ১৭ রান দিয়ে ৪ ও আকাশ পাণ্ডে ৪১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। ২৬০ রানের বড় জয় পায় মোহনবাগান।
দ্বিতীয় ম্যাচে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে খিদিরপুর স্পোর্টিং ক্লাবকে হারায় ভবানীপুর। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সমস্যায় পড়ে ভবানীপুর। ৪৯ রানে তাদের ৫ উইকেট পড়ে যায়। বিবেক সিংহ ২৯ ও জীতেশ শর্মা ১৫ রান করেন। ৫ উইকেট পড়ার পরে দলের ইনিংসকে সামলান ঋষি ও জেসল কারিয়া। ৩৬.২ ওভারে ১৭৫ রান করে ভবানীপুর। দলের হয়ে সর্বাধিক ৪৮ রান করেন ঋষি। জেসল করেন ৪২ রান।
রান বেশি না করলেও বল হাতে দাপট দেখান ভবানীপুরের বোলাররা। ঋষির নেতৃত্বে ভবানীপুরের বোলাররা খিদিরপুরের ব্যাটারদের সহজে রান করতে দেননি। চাপের মধ্যে খিদিরপুরের উইকেট পড়তে থাকে। ৩১.১ ওভারে মাত্র ১৩৪ রানে অলআউট হয়ে যায় খিদিরপুর। দলের হয়ে সর্বাধিক ৩৬ রান করেন অরুণ ছাপরানা। ১৮ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন ঋষি। ৪১ রানে ম্যাচ জেতে ভবানীপুর।