হেডকে আউট করার পর সিরাজের উচ্ছ্বাস। ছবি: আইসিসি।
টেস্ট বিশ্বকাপের প্রথম দু’দিনেই কোণঠাসা ভারত। রোহিত শর্মার দলের বোলারদের পর ব্যাটারদের ব্যর্থতা হতাশ করেছে ক্রিকেটপ্রেমীদের। ভারতের পক্ষে বলার মতো পারফরম্যান্স নেই একটিও। ভারতীয় শিবির এর মধ্যেও সাফল্য খুঁজে পাচ্ছে!
ভারতীয় বোলাররা অস্ট্রেলিয়ার শতরানকারী দুই ব্যাটার ট্র্যাভিস হেড এবং স্টিভ স্মিথকে তেমন সমস্যায় ফেলতেই পারেননি। যদিও মহম্মদ সিরাজের দাবি, ম্যাচের দ্বিতীয় দিন হেডের বিরুদ্ধে তাঁদের একটি পরিকল্পনা নাকি কাজে এসেছে। কী সেই পরিকল্পনা? সিরাজ বলেছেন, ‘‘হেডকে বাউন্সার দিয়ে অস্বস্তিতে রাখার পরিকল্পনা নিয়ে দ্বিতীয় দিন মাঠে নেমেছিলাম আমরা। আগ্রাসী বোলিং করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ঠিক করেছিলাম, বাউন্সারের বিরুদ্ধে হেড পাল্টা আক্রমণের পথে হাঁটলেও সমস্যা নেই। নিজেদের পরিকল্পনা মতোই ওকে আক্রমণ করব। সে ভাবেই ওর বিরুদ্ধে সাফল্য এসেছে।’’
প্রথম দিন কেন এই পরিকল্পনা নেননি? সিরাজ বলেছেন, ‘‘প্রথম দিনও হেডকে প্রচুর বাউন্সার দিয়েছি আমরা। সুযোগও তৈরি হয়েছিল। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে সব ক্যাচই পড়েছিল ফাঁকা জায়গায়। আমার বলেই ৪-৫টা সুযোগ নষ্ট হয়েছে। ফাঁকা জায়গায় না পড়ে বল কোনও ফিল্ডারের কাছে গেলেই অন্য রকম হত বিষয়টা। প্রথম দিন থেকেই আমরা চেষ্টা করে গিয়েছি। বল কিছুটা পুরনো হয়ে যাওয়ায় উইকেটের সোজাসুজি বল রাখার চেষ্টা করেছি আমরা। রান আটকানোর দিকেও নজর দিতে হয়েছিল। বলতে পারেন, খারাপ দিন ছিল আমাদের।’’
সিরাজের বলে উইকেটরক্ষক শ্রীকর ভরতের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন হেড। তার আগেই তাঁর ব্যাট থেকে এসেছিল ১৬৩ রানের অনবদ্য ইনিংস। স্মিথের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটের জুটিতে তুলেছিলেন ২৮৫ রান। তাঁদের দু’জনের শতরানই মূলত ভারতকে কোণঠাসা করে দিয়েছে টেস্ট বিশ্বকাপ ফাইনালে। তবু সিরাজের দাবি, হেডের উইকেট ভারতীয় দলের পরিকল্পনার ফসল। দল কোণঠাসা অবস্থায় থাকলেও আশা ছাড়তে নারাজ সিরাজ।
স্মিথের শতরান পূর্ণ হওয়ার পর তাঁর সঙ্গে বাদানুবাদ হয় স্মিথের। কী সমস্যা হয়েছিল? ভারতের তরুণ জোরে বোলার বলেছেন, ‘‘আমরা ম্যাচটা উপভোগ করতে চাই সবাই। হালকা মনে খেলার চেষ্টা করছি। অনেকে একটু বেশি চাপ নিয়ে ফেলে। সেটা আসলে কোনও কাজে আসে না।’’