মহম্মদ শামি। —ফাইল চিত্র।
চোট সারিয়ে খেলতে নেমে ধীরে ধীরে ফর্মে ফিরছেন মহম্মদ শামি। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে টানা সাতটি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। শেষ তিনটি ম্যাচে শামির বোলিং নজর কেড়েছে। গ্রুপের শেষ ম্যাচে রাজস্থানের বিরুদ্ধে ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে রাজস্থানকে ৭ উইকেটে হারিয়ে গ্রুপ এ-র শীর্ষে উঠেছে বাংলা। নকআউটে নিজেদের জায়গা পাকা করেছে তারা।
মুস্তাক আলিতে সাতটি ম্যাচে ২৭.৫ ওভার বল করেছেন শামি। অর্থাৎ, প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই নিজের চার ওভার করেছেন তিনি। প্রথমের দিকে তিনি রান দিচ্ছিলেন। কিন্তু শেষ তিনটি ম্যাচে তাঁর বল ভাল হয়েছে। গত ম্যাচে বিহারের বিরুদ্ধে চার ওভারে ১৮ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছিলেন শামি। তার আগের ম্যাচে মেঘালয়ের বিরুদ্ধে চার ওভারে দিয়েছিলেন মাত্র ১৬ রান। কিন্তু উইকেট পাননি তিনি। আর রাজস্থানের বিরুদ্ধে চার ওভারে ২৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন শামি। এই পরিসংখ্যান বলে দিচ্ছে, ধীরে ধীরে ফর্মে ফিরছেন তিনি।
এই ম্যাচের আগে বাংলা ও রাজস্থান দু’দলই ২০ পয়েন্টে ছিল। ফলে দু’দলের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ ছিল। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রান করে রাজস্থান। কার্তিক ৪৬ ও অধিনায়ক মহীপাল লোমরোর ৪৫ রান করেন। বাকিরা কেউ রান পাননি। শামি বাদে শাহবাজ় আহমেদ ও সায়ন ঘোষ ২টি করে উইকেট নেন। ১টি উইকেট পেয়েথেন ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায়।
রান তাড়া করতে নেমে আবার বড় ইনিংস খেললেন অভিষেক পোড়েল। যত দিন যাচ্ছে, বাংলার এই তরুণ উইকেটরক্ষক-ব্যাটার আরও পরিণত হচ্ছেন। বাংলাকে ভরসা দিচ্ছেন তিনি। মুস্তাক আলিতে অভিষেকের খেলা দেখে বোঝা যাচ্ছে, কেন দিল্লি ক্যাপিটালস নিলামের আগে তাঁকে ধরে রেখেছে।
৪৮ বলে ৭৮ রান করেন অভিষেক। অধিনায়ক সুদীপ ঘরামি করেন ৫০ রান। তাঁদের ব্যাটে ৯ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে যায় বাংলা। এখন সাত ম্যাচে বাংলার পয়েন্ট ২৪। তাদের নেট রানরেট ১.৬০৭। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রাজস্থানের পয়েন্ট সাত ম্যাচে ২০। একই পয়েন্ট মধ্যপ্রদেশেরও। তারা শেষ ম্যাচে খেলবে বিহারের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচ জিতলে মধ্যপ্রদেশেরও সাত ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট হবে। তাদের নেট রানরেট এখন ১.৫৮৫। অর্থাৎ, বিহারকে হারাতে পারলে পয়েন্ট তালিকায় বাংলাকে টপকে শীর্ষে যাওয়ার সুযোগ থাকবে বেঙ্কটেশ আয়ারদের।