মহম্মদ রিজ়ওয়ান। ছবি: পিটিআই।
পাকিস্তান অধিনায়ক শান মাসুদ যখন ইনিংস ডিক্লেয়ার করেন, তখন দ্বিশতরান করতে মহম্মদ রিজ়ওয়ানের বাকি ছিল মাত্র ২৯ রান। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মাসুদের নেওয়া সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছেন না রিজ়ওয়ানের সমর্থকেরা। সেই ঘটনা মনে করিয়ে দিয়েছে সচিন তেন্ডুলকরের অপরাজিত ১৯৪ রানের ইনিংসকে। দ্বিশতরান থেকে সচিন যখন ৬ রান দূরে, ডিক্লেয়ার করে দিয়েছিলেন রাহুল দ্রাবিড়।
তবে পাকিস্তানের সহ-অধিনায়ক সাউদ শাকিল জানালেন, রিজ়ওয়ানকে আগেই জানানো হয়েছিল কখন ইনিংস ডিক্লেয়ার করা হবে। ৪৪৮ রান তুলে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেন মাসুদ। শাকিল বলেন, “রিজ়ওয়ান অনেক আগেই জানত ইনিংস ডিক্লেয়ার করা হবে। এটা নিয়ে ওর কোনও ক্ষোভ আছে বলে মনে হয় না। এক-দেড় ঘণ্টা আগে আমরা বলেছিলাম যে ৪৫০ রানের কাছাকাছি তুলে ডিক্লেয়ার করা হবে।”
২০০৪ সালে ভারতের পাকিস্তান সফরে রাহুল দ্রাবিড়ের ডিক্লেয়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। সচিন সেই সময় ১৯৪ রানে ব্যাট করছিলেন। অধিনায়ক দ্রাবিড় ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দিয়েছিলেন। সেই সময় দ্রাবিড়ের সিদ্ধান্তের সমালোচনা হয়েছিল। মাত্র ৬ রানের জন্য দ্বিশতরান করতে পারেননি সচিন। কিন্তু ভারত সেই ম্যাচ জিতেছিল ইনিংস এবং ৫২ রানে। সেই ঘটনা নিয়ে এখনও কথা হয়। গত সপ্তাহেই কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে ২০ বছর আগের সেই ঘটনা নিয়ে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল। সৌরভ বলেছিলেন, “ভাগ্যিস আমি ওই ম্যাচে অধিনায়ক ছিলাম না।”
বৃহস্পতিবার মাসুদের সিদ্ধান্ত দেখে অনেকে প্রশংসাও করেছেন। তাঁরা মনে করছেন, ব্যক্তিগত মাইলফলক নয়, দলের স্বার্থ দেখে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পাক অধিনায়ক। এমনটা সাধারণত দেখা যায় না। পাকিস্তান ১১৪ ওভার ব্যাট করে ৪৪৮ রান তোলে ৬ উইকেট হারিয়ে। ওই সময় ডিক্লেয়ার করে বাংলাদেশকে ১২ ওভার ব্যাট করানোর সুযোগ নেয় পাকিস্তান। যদিও বাংলাদেশের দুই ওপেনার জাকির হাসান এবং শাদমান ইসলাম ১২ ওভারে ২৭ রান তুলে অপরাজিত থেকে যান।
প্রথম ইনিংসে পঞ্চম উইকেটের জুটিতে পাকিস্তান ২৪০ রান তোলে। রিজ়ওয়ান ছাড়াও শাকিল শতরান করেছেন। তিনি ১৪১ রান করেন। বাংলাদেশ দ্বিতীয় দিনের শেষে পিছিয়ে ৪২১ রানে।