ক্যাচ ধরার মুহূর্তে মিচেল স্যান্টনার। ছবি: পিটিআই
আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে নিউ জ়িল্যান্ডের মিচেল স্যান্টনারের ক্যাচকে বিশ্বকাপের সেরা ক্যাচ বলা হচ্ছে। পিছন দিকে দৌড়ে শূন্যে লাফিয়ে এক হাতে ক্যাচ ধরেছেন তিনি। ক্যাচ ধরে নিজেই অবাক স্যান্টনার। তিনি যে বলের কাছে পৌঁছতে পারবেন সেটাই নাকি বুঝতে পারেননি নিউ জ়িল্যান্ডের ক্রিকেটার।
আফগানিস্তানের অধিনায়ক হাসমাতুল্লা শাহিদিকে বাউন্সার করেন নিউ জ়িল্যান্ডের লকি ফার্গুসন। শাহিদি সেই বল সামলাতে পারেননি। কোনও রকমে ব্যাট চালান তিনি। বল তাঁর ব্যাটে লেগে স্কয়্যার লেগ অঞ্চলে যায়। সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন স্যান্টনার। বেশ খানিকটা এগিয়ে ছিলেন তিনি। বল উপরে উঠেছে দেখে পিছনের দিকে দৌড়ন স্যান্টনার। একেবারে শেষ মুহূর্তে শূন্যে লাফিয়ে বাঁ হাতে ক্যাচ ধরেন তিনি। মাটিতে পড়লেও ক্যাচ ছাড়েননি স্যান্টনার। তাঁর ক্যাচ দেখে অবাক হয়ে যান বোলার ফার্গুসনও। তিনি ছুটে গিয়ে স্যান্টনারকে জড়িয়ে ধরেন। ধারাভাষ্যকারেরা বলতে থাকেন, এটি এ বারের বিশ্বকাপের সেরা ক্যাচ।
সেই ক্যাচের প্রসঙ্গে পরে স্যান্টনার বলেন, ‘‘শুরুতে আমি ভাবতেই পারিনি যে বলের কাছে পৌঁছতে পারব। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পেরেছি। আমার হাত দলের বাকিদের থেকে অনেকটা লম্বা। সেই কারণেই হয়তো ক্যাচ ধরতে পেরেছি। সেই সময় উইকেট খুব দরকার ছিল। আমি ক্যাচটা ধরতে পেরে নিজেই খুব অবাক।’’
নিউ জ়িল্যান্ড-আফগানিস্তান ম্যাচের পরে পয়েন্ট তালিকায় ১ নম্বরে নিউ জ়িল্যান্ড। ৪ ম্যাচে ৪ জয়ে তাদের পয়েন্ট ৮। নেট রানরেট ১.৯২৩। নিউ জ়িল্যান্ডের নেট রানরেট এখন সব থেকে বেশি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। ৩ ম্যাচে ৩ জয়ে রোহিতদের পয়েন্ট ৬। তাঁদের নেট রানরেট ১.৮২১। বৃহস্পতিবার ভারত যদি বাংলাদেশকে ভাল ভাবে হারাতে পারে তা হলে নেট রানরেটে নিউ জ়িল্যান্ডকে টপকে আবার শীর্ষে পৌঁছে যেতে পারে ভারত।