রবিবার বল করতে পারলেন না জসপ্রীত বুমরাহ। ছবি: এক্স (টুইটার)।
দ্বিতীয় দিনের পরই সিডনি টেস্টের ফলাফল হওয়া ছিল সময়ের অপেক্ষা। সেই মতো তিন দিনও লাগল না খেলা শেষ হতে। জসপ্রীত বুমরাহের অনুপস্থিতিতে সিডনিতে আত্মসমর্পণ করল ভারত। ৬ উইকেটে ম্যাচ হারল ভারত। ফর্মে না থাকা অধিনায়ক রোহিত শর্মা দলের স্বার্থে সরে দাঁড়ালেও পারল না ভারত। অস্ট্রেলিয়ার কাছে ১-৩ ব্যবধানে সিরিজ় হারল ভারতীয় দল। ২০১৪-১৫ মরসুমের পর প্রথম বার বর্ডার-গাওস্কর ট্রফি জিতল অস্ট্রেলিয়া।
দ্বিতীয় দিনের খেলার শেষে বুমরাহদের রান ছিল ৬ উইকেটে ১৪১। তার পর আর বেশি দূর এগোতে পারেনি ভারত। রবিবার সকালে পর পর আউট হয়ে গেলেন রবীন্দ্র জাডেজা (১৩), ওয়াশিংটন সুন্দর (১২), মহম্মদ সিরাজ (৪) এবং বুমরাহ (শূন্য)। ১৫৭ রানে ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হওয়ার পর জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৬২ রান।
পিঠের চোটের জন্য শনিবার মধ্যাহ্নভোজের পর এক ওভার বল করেই উঠে গিয়েছিলেন বুমরাহ। তখনই আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, সিডনিতে তিনি আর বল করতে পারবেন না। রবিবার ব্যাট করলেও পরে আর মাঠে নামেননি তিনি। দলকে নেতৃত্ব দেন বিরাট কোহলি। সকালে খেলা শুরুর আগে বল করার চেষ্টা করেন বুমরাহ। সমস্যা হওয়ায় তাঁকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে চায়নি ভারত।
স্বভাবতই বুমরাহহীন ভারতীয় বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে ১৬২ রানের লক্ষ্যে পৌঁছতে বড় সমস্যা হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। তবু সিডনির ২২ গজে সহজ লক্ষ্যে পৌছতেও হোঁচট খেতে হয়েছে কামিন্সের দলকে। বুমরাহের অভাব ঢাকতে পারল না ভারতীয় দল। কোহলি প্রায় টানা বল করিয়ে গেলেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ এবং মহম্মদ সিরাজকে দিয়ে। একটা সময় ৫৮ রানে ৩ উইকেট ফেলে দিয়ে আয়োজকদের কিছুটা চাপে ফেলে দিয়েছিলেন প্রসিদ্ধ। তাতে অবশ্য লাভ হয়নি। জয়ের লক্ষ্য খুব বেশি না থাকায় পরিস্থিতি সামলে নেন অস্ট্রেলীয় ব্যাটারেরা।
স্যাম কনস্টাস (২২), স্টিভ স্মিথ (৪), মার্নাস লাবুশেনরা (৬) দ্রুত আউট হয়ে গেলেও ২২ গজের এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন উসমান খোয়াজা (৪১)। সিরাজ যখন তাঁকে আউট করেন, তখন ম্যাচ প্রায় হাতের মুঠোয় নিয়ে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া। তবে ১ রানের জন্য এ দিন টেস্ট ক্রিকেটে ১০ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করতে পারলেন না স্মিথ। ট্রেভিস হেড (অপরাজিত ৩৪) এবং বিউ ওয়েবস্টার (অপরাজিত ৩৯) দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেন। দ্বিতীয় ইনিংসের শুরু থেকেই দ্রুত রান তুলে ম্যাচ শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন অস্ট্রেলীয় ব্যাটারেরা। গোটা ইনিংসে ওভার প্রতি গড়ে প্রায় ৬ রান করে নিয়েছেন তাঁরা। কিছুটা প্রসিদ্ধ ছাড়া ভারতের কোনও বোলারই তাঁদের তেমন সমস্যায় ফেলতে পারেননি। ২৭ ওভারে ৪ উইকেটে ১৬২ রান তুলে নেয় প্যাট কামিন্সের দল। প্রসিদ্ধ ৩ উইকেট নিলেন ৬৫ রান দিয়ে। সিরাজের ১ উইকেট ৬৯ রানের বিনিময়ে।