শতরানের পর লাবুশেন। ছবি: রয়টার্স।
যা প্রত্যাশা করা হয়েছিল তাই হল। ম্যাঞ্চেস্টার টেস্টের চতুর্থ টেস্টের চতুর্থ দিন প্রায় পুরোটাই ভেস্তে গেল বৃষ্টিতে। মাত্র একটি সেশন খেলা হল। দু’টি ঘণ্টার বেশি খেলা হল না। তাতে একটু স্বস্তিতে অস্ট্রেলিয়া। সবচেয়ে বড় ব্যাপার, গোটা একটি সেশনে মাত্র একটি উইকেট হারিয়েছে তারা। চতুর্থ দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ২১৪-৫। পিছিয়ে রয়েছে ৬১ রানে।
শনিবার ইংল্যান্ডে সকাল থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। যে গতিতে বৃষ্টি হচ্ছিল তাতে মনে হয়েছিল সারা দিনটাই হয়তো বৃষ্টিতে ভেস্তে যেতে চলেছে। কিন্তু বেলা বাড়লে আস্তে আস্তে বৃষ্টির বেগ কমতে থাকে। অবশেষে দুপুর ২টোর দিকে বৃষ্টি থামে। ৪০ মিনিট মাঠ পরিষ্কার করা হয়। অবশেষে দুপুর ২.৪৫ মিনিট নাগাদ শুরু হয় ম্যাচ। সে সময় কিছুটা রোদও দেখা গিয়েছিল। তবে তা কিছু ক্ষণের জন্যেই।
মেঘলা আকাশ। হাওয়াও দিচ্ছিল। মনে করা হয়েছিল ইংল্যান্ডের বোলারদের সামনে ব্যাপক চাপে পড়ে যাবে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটাররা। দ্রুত তাদের ইনিংস মুড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও দেখছিলেন কেউ কেউ। কিন্তু টলানো গেল না মার্নাস লাবুশেন এবং মিচেল মার্শকে। ঠান্ডা মাথায় ইংরেজ বোলারদের খেলছিলেন তারা। অকারণে বাজ়বলের মতো তাড়াহুড়ো করে খেলতে যাননি। বল দেখে ধরে ধরে খেলছিলেন। স্বাভাবিক ভাবেই অস্ট্রেলিয়ার রানের গতি অনেকটাই কম ছিল।
লাবুশেন তবু একটু চালিয়ে খেলছিলেন। কিন্তু মার্শ ক্রিজ কামড়ে পড়ে থাকার দিকেই মন দিয়েছিলেন। মার্ক উড, জেমস অ্যান্ডারসন, স্টুয়ার্ট ব্রডদের সামলে আস্তে আস্তে নিজের এবং দলের রান বাড়াতে থাকেন লাবুশেন। ক্রমশ ইংল্যান্ডের সঙ্গে ব্যবধান কমতে থাকে। ধীরে ধীরে খেলতে খেলতেই শতরান পূরণ করেন লাবুশেন। চাপের মুখে তাঁর এই ইনিংস মন জয় করে নেয় ইংরেজ সমর্থকদেরও। সাজঘরে থাকা অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররাও উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন।
এই সময় ইংরেজ অধিনায়ক বেন স্টোকসের একটি বোলিং বদলই খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেয়। উইকেটের ঘূর্ণি দেখে তিনি বল করতে নিয়ে আসেন জো রুটকে। রুটের বলে শুরু থেকেই অস্বস্তিতে ছিলেন লাবুশেন। একটি বলে স্কোয়্যার কাট করতে গিয়ে উইকেটকিপার জনি বেয়ারস্টোর হাতে ক্যাচ তুলে দেন।
মধ্যাহ্নভোজের বিরতি পর্যন্ত বাকি কয়েকটি ওভার মার্শের সঙ্গে খেলে দেন ক্যামেরন গ্রিন। কিন্তু বিরতি চলাকালীনই ফের বৃষ্টি নামে। তার পর আর খেলা শুরু করা যায়নি। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আশার কথা, পঞ্চম দিনেও ভাল রকম বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। যদি সত্যিই ভাল বৃষ্টি হয়, তা হলে এ বারের মতো অ্যাশেজ় ধরে রাখবে অস্ট্রেলিয়া।