হরমনপ্রীত কৌর। — ফাইল চিত্র।
শনিবার বাংলাদেশ মহিলা দলের বিরুদ্ধে ভারতীয় মহিলা দলের ম্যাচ ‘টাই’ হয়েছে। ভাল জায়গায় থেকেও শেষ দিকে একের পর এক উইকেট হারানোর কারণে জিততে পারেনি ভারত। তবে বিতর্ক শুরু হয়েছে অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌরের আচরণ নিয়ে। আউট হয়ে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেন হরমনপ্রীত। শুধু তাই নয়, ব্যাট দিয়ে সজোরে স্টাম্প ভেঙে দেন। ম্যাচের পরেও আম্পায়ারের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করতে শোনা গিয়েছে।
বাংলাদেশের তোলা ২২৫ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই দুই ওপেনার শেফালি বর্মা ও যস্তিকা ভাটিয়াকে হারায় ভারত। কিন্তু স্মৃতি মন্ধানা এবং হারলিন দেওলের সৌজন্যে জেতার জায়গায় চলে আসে তারা। স্মৃতি আউট হওয়ার পর হরমন ব্যাট করতে নামেন। ৩৪ ওভারের মাথায় ঘটনাটি ঘটে।
দু’টি চারের সাহায্যে ২১ বলে ১৪ রানে ব্যাট করছিলেন হরমন। তাঁকে ভালই ছন্দে দেখাচ্ছিল। নাহিদা আখতারের বলে সুইপ করতে গিয়েছিলেন। বল তাঁর ব্যাটে বা প্যাডে লেগে স্লিপে ফাহিমার কাছে জমা পড়ে। বোলার এলবিডব্লিউয়ের আবেদন করার সঙ্গে সঙ্গে আম্পায়ার আঙুল তুলে দেন। হরমনপ্রীত সঙ্গে সঙ্গে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁর দাবি, বল ব্যাটে লেগেছে। কোনও ভাবেই তাঁর প্যাডে লাগেনি। তবে এখানেই রয়েছে রহস্য। যদি বল প্যাডে, তা হলে হরমন নিশ্চিত ভাবেই এলবিডব্লিউ ছিলেন। আবার ব্যাটে লাগলেও বল প্রথম স্লিপে ক্যাচ হওয়ায় কিন্তু আউট ছিলেন। তবে সেই আউটের ক্ষেত্রে কোনও রিভিউ নেওয়া হয়নি। কারণ এই সিরিজ়ে ‘ডিআরএস’ (ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম) ব্যবহার করা হচ্ছে না।
আম্পায়ার আউট দেওয়ায় প্রথমে ব্যাটে একটি ঘুষি মারেন হরমন। তার পরে ব্যাট দিয়ে উইকেট ভেঙে দেন। সাজঘরে ফেরার পরে আম্পায়ারের উদ্দেশে কিছু বলতেও দেখা যায় তাঁকে। হরমন আউট হওয়ার পর দর্শকেরা ব্যাপক উল্লাস করছিলেন। তাঁদের দিকে তাকিয়েও আঙুল তুলে ব্যঙ্গ করেন ভারতের অধিনায়ক।
ম্যাচের পর তিনি বলেন, “এই ম্যাচ থেকে অনেক কিছু শিখলাম। ক্রিকেট ছাড়াও, যে ধরনের আম্পায়ারিং হয়েছে তাতে আমরা অবাক। পরের বার বাংলাদেশে আসার সময় এই ধরনের আম্পায়ারিংয়ের মোকাবিলা করার জন্যে তৈরি থাকতে হবে। সেই মতো আমাদের প্রস্তুত হতে হবে।”
তবে উইকেট ভাঙা এবং আম্পায়ারদের সমালোচনার শাস্তি পেতে হতে পারে হরমনপ্রীতকে। নির্বাসিত হতে পারেন। সঙ্গে যোগ হতে পারে ডিমেরিট পয়েন্টও। অতীতে শাকিব আল হাসান বহু বার এই কাজ করে শাস্তি পেয়েছেন। সেই একই জিনিস করতে দেখা গেল হরমনপ্রীতকে।