(বাঁ দিক থেকে) ঋদ্ধিমান সাহা, মনোজ তিওয়ারি এবং অনুষ্টুপ মজুমদার। নিজস্ব চিত্র।
ক্লাব ক্রিকেটে চমক দিল কালীঘাট। এক সঙ্গে সই করাল ঋদ্ধিমান সাহা, অনুষ্টুপ মজুমদারকে। তবে সব থেকে বড় চমক হল মনোজ তিওয়ারি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে গত বছর অবসর নেওয়া বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক ফিরলেন ক্লাব ক্রিকেটে। শনিবার দুপুরে তিন জনেই সিএবিতে গিয়ে সই করেন। পরে ক্লাব তাঁবুতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন তাঁরা।
অতীতে তিন জনেই খেলেছেন কালীঘাটের হয়ে। ঋদ্ধিমান বাংলা ছাড়ার আগে খেলতেন কালীঘাটের হয়েই। দু’বছর পর বাংলায় ফেরা উইকেটরক্ষক-ব্যাটারের কাছে একাধিক ক্লাবের প্রস্তাব থাকলেও বেছে নিয়েছেন পুরনো ক্লাবকেই। এক বার ক্রিকেটের পাঁচ মুকুট জিতেছিল কালীঘাট। আসন্ন মরসুমে আবার ক্লাবকে পাঁচ মুকুট জেতানোর লক্ষ্য মনোজ, ঋদ্ধিমানদের।
বাংলার খেলা না থাকলে ক্লাবের হয়ে খেলবেন ঋদ্ধিমান এবং অনুষ্টুপ। মনোজ অবশ্য নিয়মিত খেলবেন না। তিনি বললেন, ‘‘মূলত জুনিয়র ক্রিকেটারেরাই খেলবে। দল সেমিফাইনাল বা ফাইনালে উঠলে প্রয়োজন মতো আমরা খেলব। আমাদের তিন জনের অভিজ্ঞতা দলের সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেব। যতটা পারব সতীর্থদের সাহায্য করব। কারও কোনও সমস্যা হলে সমাধান করার চেষ্টা করব।’’ আপনাকে কি কালীঘাটের হয়ে খেলতে দেখা যাবে? মনোজ বললেন, ‘‘খেলব বলেই তো সই করেছি। তবে আমি কিন্তু কোনও টাকা নিইনি এ বার। টাকা ছাড়াই সই করেছি। নিয়মিত খেলব না। দু’তিনটি ম্যাচে আমাকে দেখতে পাবেন।’’
ঋদ্ধিমানেরও লক্ষ্য ক্লাবকে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছে দেওয়া। ভারতীয় দলের প্রাক্তন সদস্য বললেন, ‘‘সব ম্যাচ জেতা যায় না। খেলায় হার-জিত থাকেই। চেষ্টা থাকবে যত সম্ভব বেশি ট্রফি জেতার। কালীঘাটের সঙ্গে আমার অনেক দিনের সম্পর্ক। তাই এখানেই আবার খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’ অনুষ্টুপের কথায়, ‘‘অনেক ক্লাব দেওয়া-নেওয়া নীতিতে চলে। খেলোয়াড়দের চাপে রাখে পারফরম্যান্সের জন্য। কালীঘাটে এ সব নেই। খেলোয়াড়দের ওপর কখনও চাপ দেওয়া হয় না। কর্তারা সব সময় খেলোয়াড়দের খেয়াল রাখেন। প্রয়োজন, চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করেন। একটা আন্তরিক পরিবেশ রয়েছে এখানে।’’
সিএবির বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার পেয়েছেন অনুষ্টুপ। আরজি করের ধর্ষণ ও খুন হওয়া চিকিৎসককে সেই পুরস্কার উৎসর্গ করেছেন তিনি। ক্লাব ক্রিকেটে কালীঘাটকে সাফল্য এনে দেওয়ার পাশাপাশি ঘরোয়া ক্রিকেটে বাংলার জন্যও নিজের সেরাটা মেলে ধরতে চান অভিজ্ঞ ব্যাটার।