শেষ রঞ্জি খেলতে নামা মনোজকে কি গোটা মরসুমেই অধিনায়ক রাখা হবে? —ফাইল চিত্র
নাগাল্যান্ডের বিরুদ্ধে বাংলা দলে ফিরলেন অভিমন্যু ঈশ্বরন। যদিও অধিনায়ক রইলেন মনোজ তিওয়ারিই। এ বারের রঞ্জি ট্রফিতে প্রথম দু’টি ম্যাচে খেলেননি অভিমন্যু। সেই সময় ভারত ‘এ’ এবং ভারতীয় দলে ছিলেন বাংলার অধিনায়ক। কিন্তু তিনি ফিরে এসেছেন। দলে যোগ দিয়েছেন। প্রথম একাদশেও রয়েছেন। তবু নেতা মনোজই।
এ বারের রঞ্জিতে প্রথম ম্যাচ জিতেই মনোজ জানিয়েছিলেন যে, এটাই তাঁর শেষ রঞ্জি। বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক এখন রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। রাজনীতি এবং ক্রিকেট দু’টিই সামলাচ্ছেন তিনি। এ বার ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে চান। তাঁর স্বপ্ন বাংলার হয়ে রঞ্জি জেতা। এ বার শেষ রঞ্জি খেলতে নেমে তিনি বলেছিলেন, “দারুণ একটা সফর। বাংলার জার্সি পরতে পারা সব সময়ই গর্বের। এ বছর বাংলার জন্য বিশেষ কিছু করতে চাই। সেটা অবশ্যই রঞ্জি ট্রফি জয়। তার পর কেরিয়ার শেষ করব।”
শেষ রঞ্জি খেলতে নামা মনোজকে কি গোটা মরসুমেই অধিনায়ক রাখা হবে? দলের পক্ষ থেকে কোনও ঘোষণা করা হয়নি। যদিও সিএবি-র কাজে সেটাই প্রকাশ পাচ্ছে। প্রথম দু’টি ম্যাচের দল ঘোষণার সময় অভিমন্যু ছিলেন না। ইডেনে সেই ম্যাচ দু’টিতে নেতৃত্ব দেন মনোজ। নাগাল্যান্ডের বিরুদ্ধে অভিমন্যু দলে ফিরলেও নেতা মনোজই। উত্তরাখণ্ডের বিরুদ্ধে চতুর্থ ম্যাচেও মনোজকে নেতৃত্ব দিতে দেখা গেলে খুব অবাক হওয়ার থাকবে না।
মনোজের হাঁটুর চোট বেশ কিছু দিন তাঁকে ভুগিয়েছে। বয়স যে ছাপ ফেলছে তা স্বীকার করে নিয়েছেন মনোজের এক সময়ের সতীর্থ এবং এখন বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লও। তিনি বলেছিলেন, “আমরা জানি মনোজ এখন আগের মতো ফিট নয়। ওর হাঁটু আগের মতো নয়। শুধু মনের জোর দিয়ে খেলে যাচ্ছে ও। এটা তরুণ ক্রিকেটারদের অনুপ্রাণিত করবে।” মরসুমের মাঝে কোনও ম্যাচ চোটের কারণে মনোজ যদি খেলতে না পারেন, তা হলে হয়তো অভিমন্যু আবার নেতৃত্ব দিতে পারেন। সেটা না হলে শেষ রঞ্জিতে মনোজকে সিএবি-র ‘উপহার’ হয়তো বাংলার অধিনায়কত্ব।