লোকেশ রাহুল। —ফাইল চিত্র।
লোকেশ রাহুলকে ছেড়ে দিতে পারে লখনউ সুপার জায়ান্টস। আইপিএলের নিলামের আগে গত বারের অধিনায়ককে ছেড়ে দেওয়ার সম্ভাবনা। নিয়ম অনুযায়ী কোনও ক্রিকেটারকে ছেড়ে দিলেও নিলামে রাইট টু ম্যাচ (আরটিএম) কার্ডের ব্যবহার করে তাঁকে দলে ফিরিয়ে নেওয়া যাবে। সেই কারণেই রাহুলকে ছেড়ে দেওয়ার ভাবনা সঞ্জীব গোয়েন্কার লখনউয়ের।
কোনও ক্রিকেটারকে দলে ধরে রাখতে গেলে যে পরিমাণ অর্থ খরচ করতে হবে, লখনউ মনে করছে তার থেকে কমে রাহুলকে পাওয়া যাবে। যদি একান্তই রাহুলকে রাখার কথা ভাবা হয় তা হলে আরটিএম করে ফেরানো হবে। নিলামের আগে রেখে দেওয়ার সম্ভাবনা কম। নিলামে রাহুলের দাম দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
লখনউয়ের নতুন মেন্টর জাহির খান এবং কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার গত মরসুমের ম্যাচ ধরে ধরে বিশ্লেষণ করেছেন। তাঁদের মতে রাহুল মাঝের ওভারে খেললে দলের হারের সম্ভাবনা বেশি। অর্থাৎ, যে সব ম্যাচে রাহুল বেশি ক্ষণ ক্রিজ়ে ছিলেন সেই সব ম্যাচ লখনউ হেরেছে। লখনউয়ের হয়ে ওপেন করেন তিনি। রাহুল তাড়াতাড়ি আউট হয়ে গেলে লখনউ জিতেছে। রাহুলের মতো এমন ওপেনার জাহিরেরা চাইছেন না, যিনি অনেক ক্ষণ সময় নিচ্ছেন ক্রিজ়ে থিতু হতে। ২০২৪ সালের আইপিএলে ১৪ ম্যাচে ৫২০ রান করেন রাহুল। তাঁর গড় ৩৭.১৪ এবং স্ট্রাইক রেট ১৩৬.১২। চারটি ম্যাচে অর্ধশতরান করেছিলেন তিনি।
গত বার রাহুলের সঙ্গে গন্ডগোল হয়েছিল লখনউয়ের মালিক সঞ্জীব গোয়েন্কার। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে হেরে মাঠেই রাহুলকে ভর্ৎসনা করেছিলেন তিনি। তার পর থেকেই বার বার রাহুলকে বাদ দেওয়ার কথা শোনা গিয়েছে। যদিও গোয়েন্কা রাহুলকে নিজের পরিবারের অংশ বলে উল্লেখ করেছিলেন।
রাহুলকে না নিলেও মায়াঙ্ক যাদবকে রাখার ব্যাপারে অনেকটাই নিশ্চিত লখনউ। জানা গিয়েছে তিন জন ক্রিকেটারকে রাখার পরিকল্পনা রয়েছে জাহিরদের। তাঁদের মধ্যে এক জন তরুণ পেসার মায়াঙ্ক। তাঁকে লখনউই খুঁজে বার করেছে। ভারতীয় দলেও জায়গা করে নিয়েছেন মায়াঙ্ক। তাই তাঁকে ছাড়তে রাজি নয় লখনউ। একই ভাবে রাহুলকে ভারতের টি-টোয়েন্টি দল থেকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে। সেটাও ব্যাটারের বিপক্ষে গিয়েছে।
মায়াঙ্কের সঙ্গে আয়ুষ বাদোনি এবং মোহসিন খানকে রেখে দিতে পারে লখনউ। তবে চূড়ান্ত তালিকা এখনও হয়নি। আলোচনায় রয়েছে নিকোলাস পুরানের নামও।