শার্দূল ঠাকুর। ছবি: বিসিসিআই।
কয়েক জন ক্রিকেটারের আপত্তিতে আইপিএলের শুরুতেই ধারাভাষ্যকারদের তালিকা থেকে বাদ পড়েছিলেন ইরফান পঠান। এ বার ধারাভাষ্যকারদের একহাত নিলেন শার্দূল ঠাকুর। লখনউ সুপার জায়ান্টসের অলরাউন্ডারের কটাক্ষ, স্টুডিয়োয় বসে কথা বলাই সবচেয়ে সহজ কাজ।
আইপিএলের নিলামে দল পাননি শার্দূল। পরে প্রতিযোগিতা শুরুর আগে আহত মহসিন খানের পরিবর্ত হিসাবে মুম্বইয়ের ক্রিকেটারকে দলে নেন লখনউ সুপার জায়ান্টস কর্তৃপক্ষ। আইপিএলে লখনউয়ের প্রতিটি ম্যাচেই প্রথম একাদশে জায়গা পেয়েছেন। শনিবার গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধেও ২ উইকেট নিয়েছেন শার্দূল। তার পরই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ধারাভাষ্যকারদের নিয়ে।
শার্দূল বলেছেন, ‘‘আমার বিশ্বাস, আমাদের বোলারেরা প্রতিযোগিতার শুরু থেকেই যথেষ্ট ভাল বল করছে। অথচ ধারাভাষ্যকারেরা প্রায়ই আমাদের সমালোচনা করছেন। তাঁরা বোলারদের সম্পর্কে একটু কঠিন কঠিন মন্তব্যই করছেন। তাঁদের বুঝতে হবে, ক্রিকেট একটা গতিতে এগোচ্ছে। এমন একটা পর্যায়ে এসেছে যে, ২০০ রানের বেশি এখন অস্বাভাবিক নয়।’’ এর পরই তিনি বলেন, ‘‘সমালোচনা সব সময়ই হয়। বিশেষত ধারাভাষ্যকারেরা সমালোচনা করে থাকেন। আসলে স্টুডিয়োয় বসে কারোর বোলিং নিয়ে মন্তব্য করা খুব সহজ। তাঁরা বোধহয় মাঠের প্রকৃত অবস্থাটা দেখতে পান না।’’
এখানেই থামেননি শার্দূল। লখনউয়ের বোলিং শক্তির পক্ষেও মুখ খুলেছেন। অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘‘আগে ব্যাট করে আমরা দু’বার জিতেছি। প্রতিপক্ষকে আমাদের দলের থেকে কম রানে আটকে রেখেছি। এটা দলের বোলারদেরই কৃতিত্ব। আমাদের ব্যাটারেরা ভাল রান তুলেছে। পিচ পরের দিকে আরও বেশি ব্যাটিং সহায়ক হয়ে গিয়েছে। পিচের পরিবর্তনের পরও আমরা একটা ম্যাচ ১০ রানে জিতেছি। কলকাতায় গিয়েও ৪ রানে জিতেছি।’’
শার্দূল বলতে চেয়েছেন, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এখন যথেষ্ট রান ওঠে। খেলার নিয়মের অধিকাংশই ব্যাটারদের অনুকূলে। ২২ গজও তৈরি করা হয় ব্যাটারদের কথা ভেবে। এই বিষয়গুলিকেও গুরুত্ব দেওয়া উচিত বিশেষজ্ঞদের। অকারণ বোলারদের সমালোচনা করা হচ্ছে।