IPL 2025

চার দিনের জ্বর থেকে উঠেই ঝড়! অভিষেক সাফল্যের কৃতিত্ব দিলেন দুই সিনিয়রকে

টানা চার দিন জ্বরে ভুগেছেন অভিষেক শর্মা। শনিবার পঞ্জাবের বিরুদ্ধে খেলার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন না। তাও ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলার জন্য দু’জনকে কৃতিত্ব দিয়েছেন তরুণ ব্যাটার।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২৫ ১৪:২৫
Share:
Picture of Abhishek Sharma

অভিষেক শর্মা। ছবি: বিসিসিআই।

ব্যাট হাতে আইপিএলে নজির গড়েছেন অভিষেক শর্মা। ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রানের ইনিংস খেলেছেন পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে। শনিবার ১৪১ রানের ইনিংস খেলে আলোচনায় উঠে এসেছেন। অথচ আগের চার দিন জ্বরে ভুগেছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ব্যাটার।

Advertisement

শনিবার ৫৫ বলের ইনিংসে অভিষেক মেরেছেন ১৪টি চার এবং ১০টি ছয়। মাঠের সব দিকে অনায়াসে শট নিয়েছেন। প্রয়োজনে দ্রুত খুচরো রানও নিয়েছেন ট্রেভিস হেডের সঙ্গে ওপেনিং জুটিতে। শতরান করা তরুণ ব্যাটারকে যথেষ্ট তরতাজাও দেখিয়েছে। অথচ আগের চার দিন অসুস্থ ছিলেন তিনি। দুর্বলতা কাটিয়ে এমন ইনিংস খেলার জন্য অভিষেক কৃতিত্ব দিয়েছেন নিজের মেন্টর এবং ভারতের টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ককে।

শ্রেয়স আয়ারদের বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলার পর অভিযেক জানিয়েছেন অসুস্থতার কথা। তিনি বলেছেন, ‘‘সত্যি বলতে চার দিন বেশ অসুস্থ ছিলাম। জ্বর ছিল। যুবরাজ সিংহ, সূর্যকুমার যাদবের মতো মানুষদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। ওদের মতো মানুষদের পাশে পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। দু’জনেই প্রতি দিন ফোন করত। আমার শরীরের খোঁজ নিত। সাহস দিত। দু’জনেই আমাকে খুব ভরসা করে।’’ অভিষেক আরও বলেছেন, ‘‘ম্যাচটা খেলতে পারব কিনা বুঝতে পারছিলাম না। শারীরিক কারণে নিজেই একটু দ্বিধায় ছিলাম। কিন্তু ওরা দু’জন সমানে সাহস দিয়ে গিয়েছে। সমানে বুঝিয়েছে, ঠিক খেলতে পারব। ওদের মতো মানুষেরা ভরসা রাখলে একটা আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়ে যায়। মনে হয়, ঠিক পারব। আমার কাছে এটা এমন একটা ইনিংস, যেটার অপেক্ষায় ছিলাম। কাঙ্ক্ষিত ইনিংসটা শেষ পর্যন্ত খেলতে পারলাম।’’

Advertisement

আইপিএলের শুরু থেকে রান পাচ্ছিলেন না। ফলে কিছুটা চাপেও ছিলেন অভিষেক। যুবরাজ এবং সূর্যকুমার সমানে সাহস যুগিয়েছেন তাঁকে। অভিষেক বলেছেন, ‘‘অবশ্যই চাপ ছিল। অস্বীকার করলে মিথ্যা বলা হবে। পর পর তিন-চারটে ম্যাচে পারফর্ম করতে না পারলে এবং দল হারলে চাপ তো হবেই। সবাই নিজের মতো করে চাপ সামলানোর চেষ্টা করে। তবে আমাদের দলের মধ্যে কোনও নেতিবাচক কিছু দেখিনি। দলের কারোর মধ্যে আগেই হেরে যাওয়ার মানসিকতা দেখিনি। সবাই ইতিবাচক ভাবে ভেবেছি। আগেই বলেছি, আমি কিভাবে আত্মবিশ্বাসী থাকতে পেরেছিলাম।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement