বিরাট কোহলি এবং গৌতম গম্ভীর। —ফাইল চিত্র।
আগামী বছর আইপিএলে গৌতম গম্ভীরকে না-ও দেখা যেতে পারে। লোকসভা ভোট রয়েছে ২০২৪ সালে। পূর্ব দিল্লির বিজেপি সাংসদ গম্ভীর। ভোটের কাজে ব্যস্ত থাকবেন তিনি। সেই কারণে আগামী বছরের আইপিএলে লখনউ সুপার জায়ান্টসের মেন্টর হিসাবে ডাগআউটে গম্ভীরকে না-ও দেখা যেতে পারে।
দিল্লিতে বিজেপির অন্যতম মুখ গম্ভীর। তাঁর নির্বাচনী এলাকায় ৩৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২১টিতেই বিজেপি জিতেছিল। বাকি দিল্লিতে আম আদমি পার্টির (আপ) প্রভাব থাকলেও গম্ভীরের এলাকায় দাপট দেখিয়েছিল বিজেপি। তাই নির্বাচনের কাজে গম্ভীরকে বেশি করে চাইবে কেন্দ্রীয় শাসকদল। সেই কারণেই ক্রিকেট থেকে সাময়িক বিরতি নিতে পারেন গম্ভীর। তবে লখনউ ছাড়বেন না তিনি। শুধু এ বারের আইপিএল থেকে বিরতি নিতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। এপ্রিল, মে মাসে আইপিএল হয়। সেই সময়ই ভোটের প্রচার চলতে পারে পুরোদমে। তাই লখনউয়ের মেন্টর হিসাবে গম্ভীরের কাজ করা মুশকিল হবে।
যদিও, গম্ভীর নিজে এখনও জানাননি যে, তিনি এ বারের আইপিএল থেকে বিরতি নিচ্ছেন। তবে ইতিমধ্যেই লখনউ দলে নেওয়া হয়েছে প্রাক্তন নির্বাচক এমএসকে প্রসাদকে। তাঁকে দলের কৌশলগত পরামর্শদাতা (স্ট্র্যাটেজিক কনসালটেন্ট) করা হয়েছে। লখনউ অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারকে ছেড়ে জাস্টিন ল্যাঙ্গারকে কোচ হিসাবে নিয়েছে। ল্যাঙ্গারকে নেওয়ার পিছনেও গম্ভীরের মস্তিষ্ক ছিল বলে জানা গিয়েছে।
গত বারের আইপিএলে গম্ভীরের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছিল বিরাট কোহলির। দিল্লির দুই ক্রিকেটার আইপিএলে খেলার সময়ও ঝামেলায় জড়িয়ে ছিলেন। তাঁদের মধ্যের সেই ঝামেলা আবার দেখা যায় গত বারের আইপিএলে। লখনউ এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ম্যাচে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন বিরাট এবং গম্ভীর। প্রায় হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল। অন্য ক্রিকেটারেরা পরিস্থিতি সামাল দেন।