লর্ডসের লং রুমে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি ইংরেজ সমর্থকদের। —ফাইল চিত্র।
লর্ডসের লং রুমকে মাছের বাজার বললেন আকাশ চোপড়া। অ্যাশেজে দ্বিতীয় টেস্টে জনি বেয়ারস্টোর আউট নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারেরা সেই আউট মানতে পারেননি। ইংরেজ সমর্থকেরাও ভাল ভাবে নেননি ওই ঘটনাকে। তাই লর্ডসের লং রুম দিয়ে সাজঘরে হেঁটে যাওয়ার সময় অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের কটূক্তি করেন বেশ কিছু সমর্থকেরা। যা মানতে পারছেন না আকাশ।
ভারতের হয়ে ১০টি টেস্ট খেলা আকাশ এক সময় মেরিলিবন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) হয়ে খেলেছিলেন। সেই ক্লাবের তিন সদস্যকেই লর্ডসের লং রুমের ঘটনায় শাস্তি দেওয়া হয়েছে। আকাশ বলেন, “লর্ডসের ঐতিহাসিক লং রুমে প্রায় ধস্তাধস্তি হচ্ছিল। এটার মানে কী? লর্ডসে যদি এমন হয়, তাহলে সেটা ক্রিকেটের জন্য খুবই খারাপ একটা বিজ্ঞাপন। মনে হচ্ছিল যেন ওটা একটা মাছের বাজার।”
অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্টের পঞ্চম দিন লর্ডসের লং রুমে এমসিসি-র কয়েক জন সদস্যের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় অস্ট্রেলিয়ার উসমান খোয়াজা ও ডেভিড ওয়ার্নারের। ইংল্যান্ডের বেয়ারস্টোর আউটের সিদ্ধান্ত মানতে পারেননি ইংরেজ সমর্থকেরা। তাই মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারেরা যখন সাজঘরে ফিরছিলেন, তখন ইংরেজ সমর্থকেরা চিৎকার করে ‘চোর, প্রতারক’ ইত্যাদি সম্বোধনে ডাকতে থাকেন। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারেরা প্রথমে তাতে বিশেষ পাত্তা দেননি।
কিন্তু সিঁড়ি দিয়ে উঠে লং রুমে ঢোকার পরেই বিপত্তি ঘটে। সেখানে ছিলেন এমসিসি-র সদস্যেরা। তাঁরা ইংল্যান্ডেরই সমর্থক। তাঁদের মধ্যে কয়েক জন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের উদ্দেশে কিছু বলেন। ওয়ার্নার এবং খোয়াজা নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। তাঁরা পাল্টা দেন। শুরু হয়ে যায় উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়। ঝামেলা থামাতে এগিয়ে আসতে হয় নিরাপত্তারক্ষীদের। তাঁরা ওয়ার্নার, খোয়াজাকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন। ওই সমর্থকদের থেকে তাঁদের দূরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। লর্ডস কর্তৃপক্ষের তরফে আবেদন করা হয় ক্রিকেটারদের কোনও ভাবে বিরক্ত বা আক্রমণ না করার জন্যে। তাঁদের সংযত থাকার অনুরোধ করা হয়।
সেই ঘটনার পর এমসিসি একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘‘লর্ডসের ঘটনায় তিন সদস্যকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের বরখাস্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ, এখন লর্ডসে ঢুকতে পারবেন না ওই তিন সমর্থক। তদন্ত শেষে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’’ মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাবের চিফ এগজিকিউটিভ গায় ল্যাভেন্ডার জানিয়েছেন, লর্ডসের মতো ঐতিহ্যশালী স্টেডিয়ামে কোনও ধরনের অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না।