—প্রতীকী চিত্র।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিরতি নিলেন উসমান ঘানি। আফগান ক্রিকেট বোর্ডকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে অভিযোগ করে সরে গেলেন তিনি। রশিদ খানের সতীর্থের দাবি, পরে কখনও যদি বোর্ড শুধরে যায়, তা হলে ফেরার কথা ভাববেন।
তিনটি টুইট করেন উসমান। সেখানে প্রথমটিতে তিনি লেখেন, “ঠান্ডা মাথায় ভেবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আমি আর আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের হয়ে খেলব না। বোর্ডের মাথায় যারা রয়েছে, তারা সকলেই দুর্নীতিগ্রস্ত। সেই কারণেই সরে যেতে হল আমাকে। তবে পরিশ্রম করা থামাচ্ছি না। সঠিক কর্মকর্তা এবং নির্বাচকদের আসার জন্য অপেক্ষা করব।” দ্বিতীয় টুইটে তিনি লেখেন, “সব ঠিক হয়ে গেলে আমি আনন্দের সঙ্গে ফিরে আসব। তার আগে দেশের হয়ে খেলতে চাই না। বোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে আমি বার বার দেখা করতে গিয়েছি। কিন্তু তাঁর দেখা পাইনি।” তৃতীয় টুইটে তিনি লেখেন, “নির্বাচকেরা আমাকে সঠিক ভাবে জানাতেও পারেননি যে, আমি কেন দল থেকে বাদ পড়েছি।”
আফগানিস্তানের হয়ে ১৭টি এক দিনের ম্যাচ এবং ৩৫টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন উসমান। এর মধ্যে এক দিনের ক্রিকেটে একটি শতরান রয়েছে তাঁর। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখনও পর্যন্ত ১২২১ রান করেছেন তিনি। রয়েছে একটি উইকেটও। ২০১৪ সালে অভিষেক হয়েছিল তাঁর। ২৬ বছরের উসমান আফগানিস্তানের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলেছেন এই বছর মার্চ মাসে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টিতে ছিলেন তিনি। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে ঢাকা ডমিনেটর্সের হয়ে খেলেন উসমান।
আফগান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান মিরওয়াইস আশরফ। ৩৫ বছরের আশরফ নিজেও এক সময় দেশের হয়ে ক্রিকেট খেলতেন। ২০২১ সাল থেকে তিনি ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন। ২০০৯ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত আফগানিস্তানের হয়ে ক্রিকেট খেলেছিলেন আশরফ। ২০২১ সালের অগস্টে তালিবরা এসে ক্রিকেট বোর্ডের সদর দফতরে ঢোকে। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার আবদুল্লাহ মাজারি। তিনিই তালিবদের বোর্ডের দফতরে নিয়ে গিয়েছিলেন। আফগান সরকার এখন তালিবদের দখলে। তাঁরা ক্রিকেট বোর্ডে হস্তক্ষেপ করেনি। যেমন ভাবে বোর্ড কাজ করছিল, সেই ভাবেই করতে বলা হয়েছিল।