লক্ষ্মীরতন শুক্ল। ফাইল ছবি
বাংলার কোচ হচ্ছেন লক্ষ্মীরতন শুক্ল। সিএবি-র তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা না করা হলেও সূত্রের খবর এমনটাই। ব্যাটিং কোচ করা হচ্ছে ডব্লিউভি রমনকে। সৌরাশিস লাহিড়ী সহকারী কোচ ছিলেন। তাঁকে অনূর্ধ্ব-২৩ বা অনূর্ধ্ব-২৫ দলের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। মঙ্গলবার সন্ধে সাতটা নাগাদ আনুষ্ঠানিক ভাবে লক্ষ্মীরতনের নাম ঘোষণা করবে সিএবি। নতুন কোচেরও সেখানে হাজির থাকার কথা।
এ বছর রঞ্জিতে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়ার পরেই বাংলার কোচ পরিবর্তন হতে পারে শোনা যাচ্ছিল। অরুণ লালের প্রশিক্ষণে পর পর দু’বার বাংলা রঞ্জির ফাইনাল এবং সেমিফাইনাল খেললেও তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল। ১১ জুলাই অরুণ লাল নিজেই কোচের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেওয়ায় সিএবি-র কাজটা সহজ হয়ে যায়। তার আগে থেকেই অবশ্য বাংলার নতুন কোচ খোঁজা শুরু হয়ে গিয়েছিল বলে শোনা যায়। বাংলার কোচের দায়িত্ব ছাড়ার পর অরুণ লাল বলেছিলেন, “আমি ক্লান্ত। ন’মাস ধরে এই দায়িত্ব সামলানো আমার পক্ষে আর সম্ভব হচ্ছে না। শারীরিক ভাবে আমি আর পারছি না। তাই সিএবি-কে জানিয়ে দিয়েছি যে আমি আর বাংলার কোচ হিসাবে থাকতে চাই না।”
কে কোচ হবেন সেই নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়। উঠে আসে ওয়াসিম জাফর, অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারের মতো নাম। কিন্তু সব থেকে বেশি শোনা যাচ্ছিল লক্ষ্মীরতন শুক্লর নাম। যিনি বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক, দীর্ঘ দিন বাংলার হয়ে খেলেছেন, ভারতীয় দলের হয়ে খেলার অভিজ্ঞতাও রয়েছে তাঁর। খেলা ছাড়ার পর একটা সময় রাজনীতির মঞ্চে পা রাখেন লক্ষ্মী। ২০১৬ সালে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। হাওড়া উত্তর থেকে বিধায়ক হন তিনি। ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে। পাঁচ বছর সেই দায়িত্ব সামলানোর পর রাজনীতিই ছেড়ে দেন লক্ষ্মী। ফের ফিরে আসেন মাঠে। বাংলার অনূর্ধ্ব-২৫ দলের কোচের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় লক্ষ্মীর কাঁধে।
সেই লক্ষ্মীই এ বার বাংলার কোচের দায়িত্ব পেতে চলেছেন। নিজে যে আক্রমণাত্মক, দাপুটে মনোভাব নিয়ে খেলতেন, সেটাই বাংলা দলের মধ্যেও তিনি নিয়ে আসবেন বলে সংশ্লিষ্ট মহলের বিশ্বাস।