ছবি: সিএবি
বাংলা দলে নতুন দায়িত্ব পেলেন লক্ষ্মীরতন শুক্ল। সিনিয়র দলের কোচ করা হল তাঁকে। মঙ্গলবার সিএবিতে বাংলার দলে কোচ হিসাবে ঘোষণা করা হল লক্ষ্মীর নাম। তাঁর সহকারী হিসাবে রাখা হল সৌরাশিস লাহিড়ীকে।
মঙ্গলবার সিএবিতে অভিষেক ডালমিয়া, স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন লক্ষ্মীই কোচ হচ্ছেন। বাংলার দীর্ঘ দিনের সৈনিক লক্ষ্মী। বাংলার অধিনায়কও ছিলেন তিনি। এ বার নতুন দায়িত্ব পেলেন লক্ষ্মী। কোচ হয়ে তিনি বললেন, ‘‘চেষ্টা করব বাংলাকে সাফল্য দিতে। নতুন ধরনের চিন্তা-ভাবনা নিয়ে সামনের দিকে এগোতে চাই। অতীতে তাকাব না। অধিনায়ক হিসাবে সহজসরল ভাবে দলকে চালনা করার চেষ্টা করতাম, কোচ হিসাবেও সেটাই করতে চাই। সিএবি, দাদিকে (সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়) ধন্যবাদ।’’
দীর্ঘ দিন বাংলার হয়ে খেলেছেন লক্ষ্মী। ১৯৯৭ সালে বাংলা দলে অভিষেক হয় তাঁর। ২০১৫ সাল পর্যন্ত বাংলার হয়ে খেলেছেন তিনি। ১৮ বছর বাংলার হয়ে খেলে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৬২১৭ রান করেন লক্ষ্মী। লিস্ট এ ক্রিকেটে তাঁর সংগ্রহ ২৯৯৭ রান। ক্রিকেট কেরিয়ারে মোট ১৩টি শতরান রয়েছে তাঁর। বল হাতে লিস্ট এ ক্রিকেটে ১৪৩টি উইকেট নেন তিনি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তাঁর সংগ্রহ ১৭২টি উইকেট। বাংলাকে নেতৃত্বও দিয়েছেন লক্ষ্মী। ভারতের হয়ে তিনটি ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। সেই তিনটি একে দিনের ম্যাচে তাঁর সংগ্রহ ১৮ রান এবং একটি উইকেট।
ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর রাজনীতির মঞ্চে পা রাখেন লক্ষ্মী। ২০১৬ সালে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। হাওড়া উত্তর থেকে বিধায়ক হন লক্ষ্মী। ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে। পাঁচ বছর সেই দায়িত্ব সামলানোর পর রাজনীতিই ছেড়ে দেন লক্ষ্মী। গত বছর ফের ক্রিকেটে ফিরে আসেন তিনি। বাংলার অনূর্ধ্ব-২৫ দলের কোচ হন লক্ষ্মী। এ বার সিনিয়র দলের দায়িত্ব দেওয়া হল তাঁকে।
আইপিএলেও খেলেছেন লক্ষ্মী। কলকাতা নাইট রাইডার্স, দিল্লি ডেয়ারডেভিলস (এখন ক্যাপিটালস) এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদ দলে ছিলেন তিনি। ক্রিকেটার হিসাবে ঘরোয়া ক্রিকেটে দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতা রয়েছে লক্ষ্মীর। সেই ভাণ্ডার নিয়েই এ বার বাংলার সাজঘরে কোচ হিসাবে পা রাখবেন তিনি।
বাংলার সিনিয়র দলে সহকারী কোচ ছিলেন সৌরাশিস। সেই দায়িত্বেই রেখে দেওয়া হল তাঁকে। ব্যাটিং কোচ হিসাবে কাজ করবেন ডব্লিউভি রমন। তিনি ৫০ দিন সময় দেবেন বাংলাকে। কবে থেকে তিনি কাজ করবেন তা পরে জানানো হবে। অগস্ট মাসের শুরু থেকেই অনুশীলন শুরু করবে বাংলা দল।