প্রথম বার আইপিএলে অধিনায়কত্ব করতে নেমেই গুজরাত টাইটান্সকে চ্যাম্পিয়ন করেছেন হার্দিক পাণ্ড্য। শুধু নেতৃত্ব নয়, ব্যাট হাতেও ভরসা দিয়েছেন তিনি। খেলার মাঠে যে ভাবে মেজাজে দেখা গিয়েছে হার্দিককে, মাঠের বাইরেও সে ভাবে মেজাজেই জীবনযাপন করেন তিনি। বিলাসবহুল পেন্টহাউস, শৌখিন হাতঘড়ি থেকে দামি গাড়ি, কী নেই সেই তালিকায়।
বডোদরায় একটি বিলাসবহুল পেন্টহাউস রয়েছে হার্দিকের। যে শহরে জন্মেছেন সেখানে মাঝেমধ্যেই পরিবারের সবাইকে নিয়ে যান তিনি। থাকেন পেন্টহাউসে।
৬ হাজার বর্গফুট এলাকা জুড়ে রয়েছে হার্দিকের পেন্টহাউস। সেখানে আধুনিক জীবনের সব রকম সুবিধা রয়েছে। একটি জিমন্যাশিয়াম ও সিনেমা হল রয়েছে সেই পেন্টহাউসে।
মুম্বইয়ের বান্দ্রাতে ৩৮৩৮ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে হার্দিকের। আট বেডরুমের সেই ফ্ল্যাটে মা, দাদা ক্রুণাল, বৌদি পঙ্খুরী, স্ত্রী নাতাশা ও ছেলে অগস্ত্যকে নিয়ে থাকেন হার্দিক।
বান্দ্রাতে রুস্তমজি প্যারামাউন্ট টাওয়ারে হার্দিকের ফ্ল্যাটের আনুমানিক দাম ৩০ কোটি টাকা। ফ্ল্যাটটি কেনেননি হার্দিক। ভাড়া নিয়েছেন।
হাতঘড়ির প্রতি বিশেষ ভালবাসা রয়েছে হার্দিকের। বেশির ভাগ সময় বিভিন্ন কোম্পানির দামি ঘড়ি পরতে দেখা যায় তাঁকে, যার মোট দাম প্রায় ১১ কোটি টাকা।
হার্দিকের কাছে যে হাতঘড়িগুলি রয়েছে সেগুলি হল, পাটেক ফিলিপ নটিলাস প্লাটিনাম (দাম ৫ কোটি), পাটেক ফিলিপ নটিলাস ১৮কে হোয়াইট গোল্ড (দাম ২ কোটি ৭০ লক্ষ), পাটেক ফিলিপ নটিলাস ৫৭১২আর (দাম ১ কোটি ৬৫ লক্ষ), রোলেক্স অয়স্টার পারপেচুয়াল ডায়টোনা কসমোগ্রাফ (দাম ১ কোটি) ও পিগেট রয়্যাল ওক ক্রোনোগ্রাফ রোজ গোল্ড (দাম ৩৮ লক্ষ)।
গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে আইপিএল খেলে ফেরার সময় হার্দিকের কাছ থেকে প্রায় আড়াই কোটি টাকার ঘড়ি বাজেয়াপ্ত করেছিল শুল্ক দফতর। কারণ সেই ঘড়ির কোনও বিল দেখাতে পারেননি তিনি।
বেশ কয়েকটি গাড়ি রয়েছে হার্দিকের। তার মধ্যে অন্যতম মার্সিডিজ জি-ওয়াগন (দাম ১ কোটি ৭৪ লক্ষ), জিপ কম্পাস (দাম ২৯ লক্ষ), রেঞ্জ রোভার ভগ (দাম ৩ কোটি), ল্যাম্বরগিনি হুরাকান ইভো (দাম ৪ কোটি), অডি এ৬ (দাম ৬৫ লক্ষ)।
এত বিলাসবহুল জীবনযাপনের জন্য খরচও হয় অনেক বেশি। কোথা থেকে আসে সেই টাকা। কত টাকা রোজগার করেন হার্দিক পাণ্ড্য।
হার্দিক বিসিসিআইয়ের চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার। বোর্ডের কাছ থেকে প্রতি বছর ১ কোটি টাকা পান তিনি। ২০১৫ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত আইপিএল খেলে মোট ৫৯ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা রোজগার করেছেন হার্দিক।
২০১৫ সালে ১০ লক্ষ টাকায় হার্দিককে কিনেছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। পরের দু’বছরও তিনি ১০ লক্ষ টাকা করেই পেয়েছিলেন। ২০১৮ সালে ১১ কোটি টাকা দিয়ে ধরে রেখেছিল মুম্বই। ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর ১১ কোটি টাকা করেই পেয়েছিলেন তিনি। এ বছর ১৫ কোটি টাকা দিয়ে হার্দিককে কেনে গুজরাত টাইটান্স।
খেলার বাইরেও রোজগার রয়েছে হার্দিকের। অনেক কোম্পানির বিজ্ঞাপন করেন তিনি। সেখান থেকে বছরে ভাল আয় হয় এই ভারতীয় ক্রিকেটারের।