ফাইল চিত্র।
পুরুষদের বিশ্বকাপে ২০, ৫০ ও ৬০ ওভারের তিনটি খেতাব ঘরে এনেছেন ভারতীয় ক্রিকেটারেরা। কিন্তু ভারতের মহিলা ক্রিকেটারদের হাতে এখনও ওঠেনি বিশ্বকাপ। শুক্রবার থেকে নিউজিল্যান্ডে শুরু হচ্ছে মহিলাদের বিশ্বকাপ, সেখান থেকে কাপ জিতে আনার পরীক্ষা মিতালি রাজের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের।
আর মহিলা ক্রিকেটারদের এই কাপ যুদ্ধ ঘিরেই আপাতত সরগরম বাইশ গজ। অবসর নেওয়ার আগে বিশ্বকাপ হাতে তোলার জন্য এটাই শেষ সুযোগ মিতালি রাজের কাছে। অন্য দিকে, ইংল্যান্ডের হিদার নাইট চাইবেন গত বিশ্বকাপে জেতা কাপ নিজের দেশেই রেখে দিতে। আর অস্ট্রেলীয় মেগ ল্যানিংয়ের লক্ষ্য সপ্তম বার দেশকে বিশ্বকাপ দেওয়া। মহিলা ক্রিকেটারদের এ রকম নানা লক্ষ্য নিয়েই এ বার শুরু হচ্ছে কাপ যুদ্ধ।
শেষ বার এই প্রতিযোগিতা হয়েছিল ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডে। দেশের মাটিতে ভারতকে ৯ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইংল্যান্ড। গত বছর আট দেশকে নিয়ে এই প্রতিযোগিতা হওয়ার কথা ছিল ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ মার্চ পর্যন্ত। কিন্তু অতিমারির কারণে শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে যায় প্রতিযোগিতা। শেষ পর্যন্ত শুক্রবার গড়াতে চলেছে বিশ্বকাপের প্রথম বল। যে ম্যাচে ভারতীয় সময় সকাল সাড়ে ছ’টা থেকে মুখোমুখি হবে নিউজিল্যান্ড বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দু’হাজার সালে যে বার নিউজিল্যান্ডে এই প্রতিযোগিতা হয়েছিল। সে বার ঘরের মাঠে কাপ জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। শনিবার বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচে প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। আর ছ’বারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার প্রতিপক্ষ চার বার কাপজয়ী ইংল্যান্ড। রবিবার প্রথম ম্যাচ খেলবে মিতালি রাজের ভারত। যে ম্যাচে তাঁদের প্রতিপক্ষ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান।
ক্রিকেটারদের পক্ষে স্বস্তি যে ছ’টি জায়গায় খেলা হবে নিউজিল্যান্ডে। সেখানে কঠোর জৈব সুরক্ষা বলয় থাকছে না। তার বদলে কঠোর নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ থাকবে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে। খেলার মাঠে থাকছে ডিআরএসও। লিগ পর্যায়ে আটটি দল একে অপরের বিরুদ্ধে খেলবে। তার পরে প্রথম চার দলকে নিয়ে হবে সেমিফাইনাল।
ভারতীয় দল এর আগে ২০০৫ সালেও ফাইনালে উঠেও হেরে গিয়েছিল। তাই কাপ নিয়ে ঘরে ফেরার জন্য প্রস্তুতি তুঙ্গে ঝুলন গোস্বামীদের। এ বারের প্রতিযোগিতায় কাপ জয়ের দৌড়ে বিশেষজ্ঞেরা অনেকেই এগিয়ে রাখছেন অস্ট্রেলিয়াকে। পাশাপাশি, বিশেষজ্ঞদের আলোচনায় ফেভারিট ধরা হচ্ছে গত বারের রানার্স ভারতকেও। এটাই শেষ বিশ্বকাপ দলের দুই বর্ষীয়ান সদস্য মিতালি ও জুলনের। নিজেদের দিনে এরা একাই ম্যাচ বার করে নিয়ে যেতে দক্ষ। জীবনের শেষ বিশ্বকাপে তাই স্মরণীয় ম্যাচ খেলতে মুখিয়ে এই দুই ভারতীয়।