শাহরুখ খান। — ফাইল চিত্র।
আইপিএল মালিকদের বৈঠকে শাহরুখ খান বিবাদে জড়ালেন নেস ওয়াদিয়ার সঙ্গে। নিলামের নিয়ম নিয়ে বাদানুবাদ হয় কলকাতা নাইট রাইডার্স ও পঞ্জাব কিংসের মালিকের মধ্যে।
বুধবার রাতে মুম্বইয়ে বোর্ডের সদর দফতরে আইপিএলের মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন বোর্ডের কর্তারা। বৈঠক চলার সময়েই বোর্ড সচিব জয় শাহ-সহ অন্য কর্তাদের সামনে বিবাদে জড়ান শাহরুখ এবং ওয়াদিয়া। একটি ক্রিকেট ওয়েবসাইট এই খবর প্রকাশ করেছে। যদিও এই বাদানুবাদের কথা অস্বীকার করেছেন ওয়াদিয়া। শাহরুখের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বোর্ডের সঙ্গে আইপিএলের দলগুলির বৈঠকে কেকেআর মালিক শাহরুখ নিজেই হাজির ছিলেন। পঞ্জাব কিংসের তরফে হাজির ছিলেন নেস ওয়াদিয়া। সেখানে মেগা নিলাম নিয়ে আলোচনা ওঠে। ক্রিকেট ওয়াবসাইটটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মেগা নিলামের বিরুদ্ধে সরব হন শাহরুখ। এই নিলাম পুরোপুরি তুলে দেওয়ার প্রস্তাব দেন তিনি। পাশাপাশি, ক্রিকেটার ধরে রাখার নীতি নিয়েও সরব হন তিনি। আরও বেশি ক্রিকেটার ধরে রাখার পক্ষে পরামর্শ দেন। তা মানতে চাননি ওয়াদিয়া। তিনি বিরোধিতা করার পর দু’তরফেই সুর চড়ে। তর্কাতর্কি হতে থাকে। এই ঘটনায় বাকি কর্তারাও বিস্মিত হন।
আইপিএলে প্রতি তিন বছর অন্তর আয়োজিত হয় মেগা নিলাম। আগের নিয়ম অনুযায়ী, একটি দল সর্বোচ্চ চার ক্রিকেটার ধরে রাখতে পারে। একজন ‘রাইট-টু-ম্যাচ’ কার্ড ব্যবহার করে কিনতে পারে। দলগুলি সেরা চার ক্রিকেটারকে রেখে বাকিদের ছেড়ে দেয়। অন্য দিকে, মিনি নিলাম সাধারণত প্রতি বছর আয়োজন করা হয়। এই নিলামে দলগুলির ক্রিকেটার ছাড়ার ক্ষেত্রে কোনও নিয়ম নেই। যাঁরা আগের মরসুমে ভাল খেলতে পারেননি, সাধারণত তাঁদেরই ছেড়ে দেয় দলগুলি। তবে দুই নিলামের মধ্যে মূল পার্থক্য হল, মিনি নিলামে ক্রিকেটারদের দাম বেশি ওঠে। উদাহরণস্বরূপ, গত বারের মিনি নিলামে মিচেল স্টার্ক ২৪.৭৫ কোটি দাম পান। অতীতের সব নজির ভেঙে দেন।
এমন কোনও ঘটনার কথা স্বীকার করেননি ওয়াদিয়া। বৈঠকের পর তিনি বলেছেন, “আমি শাহরুখকে ২৫ বছরেরও বেশি চিনি। ওর সঙ্গে কোনও শত্রুতা নেই। প্রত্যেকে নিজেদের মতামত জানিয়েছে। তার পক্ষে যুক্তি দিয়েছে। দিনের শেষে যারা এই প্রতিযোগিতার সঙ্গে যুক্ত তাদের মতামতই প্রাধান্য দিতে হয়। আশা রাখি বোর্ড যেটা ভাল মনে করবে সেটাই করবে।”
শাহরুখ অবশ্য সমর্থন পেয়েছেন কাব্য মরানের। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ দলের মালকিন জানান, বড় নিলাম তুলে দিয়ে প্রতি বছর ছোট নিলামের পক্ষে তিনি। এক ওয়েবসাইটে বলেছেন, “একটা দল গড়ে তুলতে অনেক সময় লাগে। অনেক বিনিয়োগ দরকার হয়। তরুণ ক্রিকেটারদের পরিণত করে তুলতে সময় লাগে। তিন বছর অক্লান্ত পরিশ্রমের পর আজ অভিষেক শর্মার মতো ক্রিকেটার ধারাবাহিক ভাবে ভাল খেলছে। বাকি দলগুলোতেও এ রকম উদাহরণ রয়েছে।”