ভারতের জার্সিতে সতীর্থদের সঙ্গে বরুণ চক্রবর্তী (মাঝে)। —ফাইল চিত্র।
অভিযোগ করেছেন বরুণ চক্রবর্তী। আইপিএল শুরুর আগে তাঁর জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া নিয়ে অভিযোগ করেছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের স্পিনার। বরুণের অভিযোগ, গুজব ছড়িয়ে তাঁকে ভারতীয় দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বিশেষ চোট পাননি। কিন্তু কেউ তাঁর চোটের গুজব ছড়িয়েছিলেন। ফলে নির্বাচকেরা তাঁকে বাদ দিয়েছিলেন।
২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে ছিলেন বরুণ। বিশ্বকাপের পরে আর তাঁকে তেমন ভাবে দেখা যায়নি। এই প্রসঙ্গে বরুণ বলেন, “সেই সময়টা আমার কাছে খুব কঠিন ছিল। সবে বিশ্বকাপ শেষ হয়েছিল। তার পরে আমার ছোট একটা চোট হয়েছিল। খুব একটা বড় চোট নয়। আমি দু’-তিন সপ্তাহ বিশ্রাম নিয়েছিলাম। কিন্তু কেউ কেউ বলতে শুরু করল, আমি বড় চোট পেয়েছি। গুজব ছড়ানো শুরু হল। তার পরেই বাদ পড়লাম। এটা ঠিক হয়নি। কারও সঙ্গে এমন করা উচিত নয়।”
অভিযোগ করলেও আলাদা করে কারও নাম করেননি বরুণ। তবে তাঁর অভিযোগ ভারতীয় দলের ভিতরের ছবি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। সত্যিই যদি এমন কিছু হয়ে থাকে তা হলে সেটা ভারতীয় ক্রিকেটের পক্ষে ভাল বিজ্ঞাপন নয়। এই বিষয়ে বিসিসিআই এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেনি।
তার পরেও কেকেআর তাঁকে ধরে রেখেছিল। ২০২২ সালের আইপিএলে ভাল খেলতে পারেননি তিনি। ১১টি ম্যাচ খেলে মাত্র ৬টি উইকেট নিয়েছিলেন। ভারতীয় দলে ফেরার জন্য মরিয়া চেষ্টা করতে গিয়েই তিনি ভুল করে ফেলেছিলেন বলে জানিয়েছেন বরুণ। তিনি বলেন, “তার আগেই দল থেকে বাদ পড়েছিলাম। তাই ভারতীয় দলে ফেরার জন্য মরিয়া চেষ্টা করছিলাম। অনেক কিছু করার চেষ্টা করছিলাম। সেটা করতে গিয়েই সমস্যা হয়েছিল। বলে অনেক বদল করছিলাম। নিজের স্বাভাবিক বোলিং ভুলে গিয়েছিলাম। তার খেসারত দিতে হয়েছিল।”
তার পরেও কেকেআর তাঁকে দলে রেখেছিল। ২০২৩ সালে আবার ফর্মে ফিরেছিলেন বরুণ। ১৪টি ম্যাচে নিয়েছিলেন ২০টি উইকেট। এখন আর ফলের কথা বেশি ভাবেন না বরুণ। নিজের কাজটা করে যেতে চান তিনি। তাতে ভারতীয় দলে সুযোগ না পেলেও কোনও দুঃখ নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। বরুণ বলেন, “সবাই চেষ্টা করছে। সবাই লড়াই করছে। যার ভাগ্যে যা আছে সেটাই হবে। আমার কাজ খালি পরিশ্রম করে যাওয়া। সেটাই করছি। আশা করছি এক দিন পরিশ্রমের ফল পাব।”