শ্রেয়স আয়ার। —ফাইল চিত্র।
তাঁর ব্যাটে রান ছিল না। তাই ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়েছিলেন। বোর্ডের নির্দেশ শর্তেও রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে না খেলায় হারিয়েছেন বার্ষিক চুক্তি। সব মিলিয়ে আইপিএল শুরুর আগে বেশ চাপে ছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্স অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার। সেই চাপ মঙ্গলবার কিছুটা কাটল। রঞ্জি ফাইনালে ৯৫ রান করলেন শ্রেয়স। আর দর্শকাসনে বসে তা দেখলেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
সব ধরনের ক্রিকেট মিলিয়ে শ্রেয়স শেষ পাঁচটি ম্যাচের একটিতেও অর্ধশতরান করতে পারেননি। দক্ষিণ আফ্রিকায় দ্বিতীয় ম্যাচে ডারবানে একটি ইনিংসে শূন্য করেছিলেন। অন্যটিতে অপরাজিত ছিলেন ৪ রান করে। অন্ধ্রের বিরুদ্ধে মুম্বইয়ের হয়ে রঞ্জিতে করেছিলেন ৪৮ রান। ভারতীয় দলে ফেরেন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। হায়দরাবাদে দুই ইনিংসে যথাক্রমে করেন ৩৫ এবং ১৩ রান। বিশাখাপত্তনমে ২৭ এবং ২৯ রান করে আউট হয়ে যান। রঞ্জির সেমিফাইনালে তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে করেছিলেন মাত্র ৩ রান। শ্রেয়সকে নিয়ে চাপ তৈরি হচ্ছিল।
রঞ্জি ফাইনালে বিদর্ভের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে রান পাননি শ্রেয়স। করেছিলেন মাত্র ৭ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে মান রক্ষা করলেন কিছুটা। ৯৫ রান করলেন তিনি। ৫ রানের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া হল তাঁর। শ্রেয়সের রানে ফেরা স্বস্তি দেবে কেকেআর-কে। নাইট অধিনায়ক রান না পেলে আইপিএলে অসুবিধা হবে দলের। তাই শ্রেয়স রঞ্জি ফাইনালে রান পাওয়ায় আইপিএলের আগে মুখে হাসি দেখা যাবে সমর্থকদের।
শ্রেয়স এই বছরে এখনও পর্যন্ত সাদা বলের ক্রিকেট খেলেননি। আইপিএলেই প্রথম বার সাদা বলের ক্রিকেট খেলবেন তিনি। তাই লাল বলের ক্রিকেটে তাঁর ব্যাটিং দেখে সাদা বলের ক্রিকেটের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত হবে না। দেখে নেওয়া যাক সাদা বলের ক্রিকেটে শ্রেয়স গত বছর কেমন ফর্মে ছিলেন।
গত বছর চোটের কারণে খুব বেশি ম্যাচ খেলতে পারেননি শ্রেয়স। আইপিএল খেলেননি। দু’টি টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন ভারতের হয়ে। সেই দু’টি ম্যাচে তাঁর মোট সংগ্রহ ৬১ রান। একটি ইনিংসে ৫৩ রান করেছিলেন তিনি। এক দিনের ক্রিকেটে ২০টি ম্যাচ খেলেছিলেন শ্রেয়স। তিনটি শতরান করেছিলেন। চারটি অর্ধশতরানও করেছিলেন শ্রেয়স। তাঁর মোট সংগ্রহ ৮৪৬ রান। গড় ৫২.৮৭। এই পরিসংখ্যান অবশ্যই কেকেআরের জন্য স্বস্তির। আইপিএলে তাঁর থেকে ভাল ইনিংসের অপেক্ষায় কেকেআর।