Rinku Singh

সচিন, বিরাট নন, পাঁচ ছক্কার নায়ক রিঙ্কু জানালেন তাঁর আদর্শ এক বাঁহাতি ক্রিকেটার

আইপিএলে পাঁচ ছক্কা মেরে ম্যাচ জেতানো রিঙ্কু সিংহের আদর্শ কে? সচিন বা বিরাট নন, তিনি বেছে নিলেন এক বাঁহাতি ক্রিকেটারকে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:৫৪
Share:

রিঙ্কু সিংহ। —ফাইল চিত্র।

এ বছরের আইপিএলে সব থেকে আলোচিত মুহূর্ত জিজ্ঞেস করলে যে কোনও ক্রিকেটপ্রেমী হয়তো নির্দ্বিধায় বলবেন, রিঙ্কু সিংহের পাঁচ ছক্কা মেরে ম্যাচ জেতানো। তিনি জানালেন কোন ক্রিকেটার তাঁর আদর্শ। সচিন তেন্ডুলকর বা বিরাট কোহলি নন, তাঁর আদর্শ সুরেশ রায়না। রিঙ্কুর মতো রায়নাও উত্তরপ্রদেশের ক্রিকেটার।

Advertisement

আমদাবাদের মাঠে গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতানো সেই ইনিংস রিঙ্কুর জীবনটাই বদলে দিয়েছে। ২৫ বছরের ব্যাটার ভারতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছেন। পরের মাসে এশিয়ান গেমসেও খেলবেন। সেই রিঙ্কু বলেন, “আমার আদর্শ সুরেশ রায়না। প্রায়ই কথা বলি ওর সঙ্গে। রায়না আমাকে বলেছিল আইপিএল খেলার সময় ব্যাটিংয়ে সময় দেওয়ার জন্য। নিজের উপর বিশ্বাস রাখলে, ইনিংসের শেষ সময়েও ছক্কা মারতে পারবে। মহেন্দ্র সিংহ ধোনিও আমাকে একই কথা বলত। ধোনি বলত, বোলার কী ভাবছে সেটা বোঝার চেষ্টা না করতে, বল এলে সেই অনুযায়ী শট মারতে।”

রিঙ্কু স্বপ্ন দেখতেন ভারতের হয়ে খেলার। সেই স্বপ্ন ইতিমধ্যেই সত্যি হয়ে গিয়েছে। ভারতের জার্সি পরে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে দু’টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ১৮০-র উপর স্ট্রাইক রেট রেখে ৩৮ রান করেছেন। একটিই ইনিংসে ব্যাট করেছিলেন সেই সিরিজ়ে। কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে এ বারের আইপিএলে ৪৭৪ রান করা রিঙ্কু আগামী দিনে ভারতীয় দলের নিয়মিত সদস্য হতে পারবেন কি না তা অবশ্যই এখন বলা সম্ভব নয়। তবে এশিয়ান গেমসে ভাল খেললে নির্বাচকেরা তাঁকে নিয়ে আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ভাবতে বাধ্য হবেন।

Advertisement

২০১৬ সালে উত্তরপ্রদেশের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল রিঙ্কুর। ২০১৮ সালে কেকেআরে যোগ দেন তিনি। এই বছর ধারাবাহিক ভাবে সুযোগ পেয়েছেন। রানও করেছেন। সুযোগ কাজে লাগাতে জানেন রিঙ্কু। আগে শুধু ফিল্ডিং করতে নামতেন। তাতেও নজর কাড়তেন। কানপুরে উত্তরপ্রদেশ টি-টোয়েন্টি লিগ খেলতে ব্যস্ত রিঙ্কু বলেন, “আয়ারল্যান্ড সফরের আগে বেঙ্গালুরুতে একটা ক্যাম্প হয়েছিল। ভারতীয় দলের হয়ে অনুশীলন করছিলাম। সেই অনুভূতিটা একদম আলাদা রকমের ছিল। মুম্বই থেকে ডাবলিন যাওয়ার আগে নিজের নাম লেখা ভারতীয় দলের জার্সি পেলাম। কেঁদে ফেলেছিলাম। চুমু খেয়েছিলাম বিসিসিআই-এর লোগোতে। মাকে ভিডিয়ো কল করে দেখিয়েছিলাম জার্সিটা। যে জিনিসটা পাওয়ার জন্য এত পরিশ্রম করেছি, সেটা সামনে থেকে দেখলাম। অসাধারণ একটা মুহূর্ত।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement