Women's Premier League 2024

ঝুলনের কাছে সুইং রপ্ত করে ডব্লিউপিএলে কাশ্বী

অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে অরুণাচল প্রদেশের বিরুদ্ধে চণ্ডীগড়ের হয়ে এক ইনিংসে ১০ উইকেট পেয়েছিলেন কাশ্বী গৌতম। তার পর থেকেই ভারতীয় ক্রিকেটমহলে চর্চা শুরু হয় কাশ্বীকে ঘিরে।

Advertisement

ইন্দ্রজিৎ সেনগুপ্ত 

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৬:৪৯
Share:

দুই-প্রজন্ম: ঝুলনের সঙ্গে ট্রফি হাতে কাশ্বী। —নিজস্ব চিত্র।

ডব্লিউপিএল-এর ইতিহাসে ‘আনক্যাপড’ ক্রিকেটার হিসেবে সবচেয়ে বেশি দর উঠেছে তাঁর। নিলামে ১০ লক্ষ টাকার ন্যূনতম মূল্য থেকে পেয়েছেন দু’কোটি টাকা। তিনি চণ্ডীগড়ের ২০ বছরের তরুণী কাশ্বী গৌতম।

Advertisement

অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে অরুণাচল প্রদেশের বিরুদ্ধে চণ্ডীগড়ের হয়ে এক ইনিংসে ১০ উইকেট পেয়েছিলেন এই তরুণী। তার পর থেকেই ভারতীয় ক্রিকেটমহলে চর্চা শুরু হয় কাশ্বীকে ঘিরে। ২০২০ সালে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতা হয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে। ডব্লিউপিএল-এর মহড়া বলা হত যে প্রতিযোগিতাকে। সেখানে ঝুলন গোস্বামী ও স্মৃতি মন্ধানার দলে ছিলেন এই তরুণী। ২০ বছরের কাশ্বী এ বার ডব্লিউপিএলে গুজরাত জায়ান্টস দলে। নিলামে ইউপি ওয়ারিয়র্স ও গুজরাতের মধ্যে লড়াই চলেছিল তাঁকে ঘিরে। শেষ হাসি হাসে গুজরাত। এই তথ্য অনেকেরই জানা। কিন্তু অনেকেই জানেন না কাশ্বী কাকে দেখে পেসার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছেন? কার পরামর্শে উপকৃত হয়েছেন ক্রিকেটজীবনে? মানসিক ভাবে শক্তিশালী হতে কে-ই বা শিখিয়েছেন চণ্ডীগড়ের তরুণীকে?

আনন্দবাজারের সঙ্গে আলাপচারিতায় প্রাণ খুলে সব তথ্যই জানিয়ে দিলেন কাশ্বী। ভুবনেশ্বর কুমার তাঁর অনুপ্রেরণা। ছোটবেলা থেকেই ভুবির ভক্ত কাশ্বী। দু’দিকেই সুইং করানোর স্বপ্ন দেখতেন। আউটসুইং সহজে হলেও ইনসুইং মজবুত ছিল না। ২০২০ সালে দুবাইয়ে মহিলাদের টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জ খেলতে যান কাশ্বী। সতীর্থ হিসেবে পেয়ে যান কিংবদন্তি ঝুলন গোস্বামীকে। তাঁর কাছেই রপ্ত করেন ইনসুইং।

Advertisement

ঝুলনও তাঁর ক্রিকেটজীবনের শুরুর দিকে জনপ্রিয় ছিলেন ইনসুইংয়ের জন্য। ব্যাটসম্যানের ব্যাট ও পায়ের ফাঁক দিয়ে স্টাম্পে আছড়ে পড়ত তাঁর ডেলিভারি। কিংবদন্তির থেকে সেই শিক্ষা নিয়ে বাজিমাত করেন কাশ্বী। তিনি বলছিলেন, ‘‘ঝুলুদি আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন। ব্যাটারকে কী ভাবে সুইং খেলতে বাধ্য করতে হয়, তা আমি ঝুলুদির থেকেই শিখেছি।’’ যোগ করেন, ‘‘ইনসুইং রপ্ত করতেও ঝুলুদি সাহায্য করেছেন। ওঁর কাছ থেকে পেস বোলিংয়ের মূল্যবান পাঠ পেয়েছি। যা এখন আমার কাজে লাগছে।’’ স্মৃতি মন্ধানার নেতৃত্বেও খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে কাশ্বীর। ভারতীয় ওপেনারের ভয়ডরহীন মানসিকতা মুগ্ধ করেছে এই তরুণীকে। বলছিলেন, ‘‘অনেক ক্রিকেটারের সঙ্গেই আলাপ হয়েছে। কিন্তু স্মৃতিদির মতো সাহসী ব্যাটার খুব কম দেখেছি। আমাকে বলেছিলেন, বড় মঞ্চ দেখে ঘাবড়ে যাওয়ার কিছু নেই। মনে রাখবি সকলে এক দিন তোর জায়গায় ছিল। তা-ও তুই একটা ভাল মঞ্চ পেয়েছিস। সেটাকে কাজে লাগা। স্মৃতিদির কথাটা কখনও ভুলব না। ডব্লিউপিএলও বড় মঞ্চ। নিজের সেরাটা দিতে চাই।’’

বর্তমানে অনূর্ধ্ব-২৩ প্রতিযোগিতায় খেলছেন কাশ্বী। বলছিলেন, ‘‘আপাতত রাজ্যকে জেতানোই আমার দায়িত্ব। এখানে ভাল খেললে ডব্লিউপিএলে আত্মবিশ্বাস নিয়ে নামতে পারব।’’ ভারতের তরুণ প্রজন্মের পেস বিভাগ ইতিমধ্যে তৈরি হতে শুরু করেছে। বাংলার তিতাস সাধুর সঙ্গে কাশ্বী যদি ভবিষ্যতে ভারতীয় দলের বোলিং ওপেন করেন, অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement