ফাইনালে বিধ্বংসী মেজাজে উইলিয়ামসন। ছবি:এএফপি
১৮ তম ওভারের শেষ বলে স্টিভ স্মিথের হাতে ক্যাচ দিয়ে যখন সাজঘরে ফিরছেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন, তখন তাঁর নামের পাশে দেখাচ্ছে ৪৮ বলে ৮৫ রান। মেরেছেন ১০টি চার ও তিনটি বিশাল ছক্কা। কিন্তু আসল গল্প লুকিয়ে আছে তাঁর খেলার ধরনে। টি২০ ক্রিকেট মানেই গায়ের জোরের খেলা, সেই সংজ্ঞা ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বদলে দিলেন কিউয়ি অধিনায়ক। তার বদলে লিখলেন নতুন সংজ্ঞা। সেখানে বড় শট খেলতে গায়ের জোর নয়, বরং টেকনিক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে রান করা মানেই হাওয়ায় খেলা নয়, ফিল্ডিংয়ের ফাঁকফোকর খুঁজে সেই অনুযায়ী শট খেলা।
উইলিয়ামসন যখন ব্যাট করতে নামেন তখন আগের ম্যাচের নায়ক ড্যারিল মিচেলের উইকেট হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। পরের কিছু ওভারে রানের গতি কমে গেল। বাউন্ডারি আসছে না। এক রান, দু’রানের উপরেই ভরসা করতে হচ্ছে। কিন্তু ধৈর্য হারাননি উইলিয়ামসন। উইকেট ধরে রেখেছেন। স্কোরবোর্ড চালিয়ে গিয়েছেন।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
১১ তম ওভারে উইলিয়ামসনের সহজ ক্যাচ ছাড়েন জস হ্যাজলউড। তার পরেই বদলে গেল তাঁর খেলার ধরন। বোলারের গতি ব্যবহার করে বড় শট খেলতে শুরু করলেন। মাঠের প্রতিটি কোণ ব্যবহার করলেন। তার মধ্যে যেমন এগিয়ে এসে বোলারের মাথার উপর দিয়ে বড় শট খেললেন, তেমনই পিচের গভীরতাকে কাজে লাগিয়ে উইকেটরক্ষকের পিছনে ব্যাকরণ বহির্ভূত শট খেলতেও দেখা গেল।
শেষ পর্যন্ত টিকে থাকলে হয়তো ফাইনালে শতরানও হত তাঁর। যদিও তার মধ্যেই অধিনায়ক হিসাবে রেকর্ড করে ফেলেছেন তিনি। টি২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে অধিনায়ক হিসাবে সর্বোচ্চ রান করলেন তিনি। ভাঙলেন ২০০৯ সালের টি২০ বিশ্বকাপের ফাইলানে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক কুমার সঙ্গকারার করা ৬৪ রানের রেকর্ড।