তখনও আগুন জ্বলছে করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে।
লাহৌরের আনারকলি বাজারে গত ২০ জানুয়ারি বোমা বিস্ফোরণের পর করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে আগুন। পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) শুরুর আগে ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা নিয়ে তটস্থ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।
পিএসএল শুরু হওয়ার ঠিক দু’ দিন আগে মঙ্গলবার রাতে করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে আগুন লেগে যায়। ক্রিকেট পাকিস্তান তাদের ওয়েব সাইটে এই খবর জানিয়ে লিখেছেন, অস্থায়ী কমেন্ট্রি বক্স তৈরির সময় শর্ট সার্কিট হয়ে আগুন লেগে যায়।
জৈবদুর্গ যাতে ঠিক মতো তৈরি করা যায়, তার জন্যই ন্যাশনাল স্টেডিয়ামের কমেন্ট্রি বক্স চারতলা থেকে নামিয়ে একতলায় করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারই কাজ চলছিল। ক্ষয়ক্ষতির অবশ্য কোনও খবর পাওয়া যায়নি। এই ঘটনার পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে পাকাপাকি ভাবে দমকলের একটি ইঞ্জিন রাখা থাকবে।
বৃহস্পতিবার করাচি কিংস ও মুলতান সুলতান্সের মধ্যে ম্যাচ দিয়ে পিএসএল শুরু হওয়ার কথা।
গত সপ্তাহে লাহৌরে বোমা বিস্ফোরণের পর থেকেই পিএসএল-এর নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত পাকিস্তান। সেখানকার পঞ্জাব সরকার এখন কেন্দ্রের ইমরান খান সরকারের দিকে তাকিয়ে রয়েছে, পিএসএল-এ খেলতে আসা বিদেশি ক্রিকেটারদের ‘রাষ্ট্রীয় অতিথি’-র মর্যাদা দেওয়া হয় কি না। সে ক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী বিদেশি ক্রিকেটাররা বাড়তি নিরাপত্তা পাবেন।
লাহৌরের গদ্দাফি স্টেডিয়ামে পিএসএল-এর মোট ১৯টি ম্যাচ হওয়ার কথা। এর মধ্যে রয়েছে দু’টি সেমি ফাইনাল এবং ফাইনাল। ১০ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি এই ম্যাচগুলি হওয়ার কথা। তার আগে বৃহস্পতিবার থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৫টি ম্যাচ হওয়ার কথা করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে।
পিএসএল-এর নিরাপত্তা নিয়ে আইনমন্ত্রী বাশারাত রাজা ইতিমধ্যেই ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠক করেছেন। আরও একটি বৈঠক হওয়ার কথা। সেখানে থাকার কথা মুখ্য সচিব, পঞ্জাবের আইজি, এসিএস (স্বরাষ্ট্র), সিটিডি, স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চের আধিকারিক এবং পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কর্তাদের।