রোহিতদের আক্রমণ করার পর থেকেই সমালোচিত হচ্ছিলেন মিয়াঁদাদ। এ বার পাল্টি খেলেন তিনি। ফাইল ছবি
তাঁর মন্তব্য নিয়ে জলঘোলা হয়েছে ক’দিন আগেই। ভারত এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তানে যাবে না শুনেই তিনি বলেছিলেন, ‘ওরা নরকে যাক’। সেই মন্তব্যের তিন দিন পরেই পাল্টি খেলেন জাভেদ মিয়াঁদাদ। বলে দিলেন, তাঁর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। তবে ভারতকে আক্রমণ করার রাস্তা থেকে পিছু হটেননি তিনি। তবে এ বার তাঁর গলার স্বর আগের থেকে অনেক নম্র।
এক ভিডিয়োয় মিয়াঁদাদ বলেছেন, “আপনারা কি জানেন নরক মানে কী? তোমাদের যদি খেলতে ইচ্ছা না হয় খেলো না। আমাদের সমস্যা নেই। ভারতের ক্রিকেটারদের জিজ্ঞাসা করুন। ওরাও বলবে দু’দেশের মধ্যে ক্রিকেট হওয়া দরকার। এতে দু’দেশেরই লাভ হবে। ওরা যদি ভাবে পাকিস্তানে না এলে বিরাট লাভবান হবে, তা কিন্তু নয়। ওটাই বলতে চেয়েছিলাম। আমরা স্বাধীন দেশ। পাকিস্তান বিশ্বমানের ক্রিকেট এবং হকি খেলোয়াড় তুলে এনেছে। বিশ্বের যে প্রান্তেই যান, দেখবেন প্রতিবেশী দেশগুলি একে অপরের বিরুদ্ধে খেলে।”
এই প্রসঙ্গে পুরনো দিনের কথাও উঠে এসেছে মিয়াঁদাদের মুখে। বলেছেন, “আগে আমরা ভারতে যেতাম। ওরাও পাকিস্তানে আসত। ভারত পাকিস্তানে এলে সে দেশের অনেক মানুষ খেলা দেখতে আসত। লাহোরে সবাই হোটেল পেত না। থাকত সাধারণ মানুষের সঙ্গে। তখন দু’দেশের মধ্যে কত ভাল সম্পর্ক ছিল। আমি চাই সেটাই বজায় থাকুক। দু’দেশে একে অপরের কত আত্মীয় ছড়িয়ে রয়েছে। সেটা মাথায় রাখতে হবে।”
দিন তিনেক আগে ইউটিউবে এক ভিডিয়োয় মিয়াঁদাদ বলেন, “আগেও বলেছিলাম, ভারত আসবে না তো আসবে না। তাতে আমাদের কিছু এসে-যাবে না। ওরা গোল্লায় যাক। আমরা তো দেশের মাটিতে ক্রিকেট খেলছি। ওদের আসার ব্যাপারটা আইসিসি-র উপর নির্ভর করছে। যদি আইসিসি ওদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে তা হলে ওদের রাখারই দরকার নেই। আইসিসি-র উচিত প্রত্যেক দেশের জন্যে একটা করে নিয়ম রাখা। যদি ওরা না আসে, তা হলে সংস্থার কর্তাদের সরিয়ে দেওয়া উচিত।”
এখানেই না থেমে মিয়াঁদাদ আরও বলেন, “ওরা কেন খেলতে চাইছে না? পাকিস্তানে এসে খেলতে কি ভয় পাচ্ছে? আমাদের সময়েও দেখতাম, ওরা হারের ভয়ে খেলতে চাইত না। কারণ হেরে গেলে খুবই সমস্যায় পড়ে যেত। ওদের দেশের সমর্থকরা জঘন্য। ভারত যার কাছেই হারুক না কেন, ওদের সমর্থকরা ক্রিকেটারদের ঘর জ্বালিয়ে দেয়। সেটাকেই ওরা ভয় পায়।”
একদম শেষে আইসিসি-র উদ্দেশে মিয়াঁদাদ বলেন, “আইসিসি-র উচিত কড়া ব্যবস্থা নেওয়া। কোনও দেশ এ রকম ব্যবহার করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াই দরকার। একটা নিয়ম তো হওয়া উচিত।”