পাকিস্তানে এশিয়া কাপে ভারতের দল না পাঠানো নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য মিয়াঁদাদের। ছবি: টুইটার।
এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তানে যেতে রাজি নয় ভারতীয় দল। সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর আস্থা নেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের। বিসিসিআইয়ের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক জাভেদ মিয়াঁদাদ। তাঁর যুক্তি, কেউ মারা যাওয়ার হলে মারা যাবেই। এমনই বিতর্কিত মন্তব্য করলেন মিয়াঁদাদ।
মিয়াঁদাদের মতে, নিরাপত্তা কখনও সফরে না যাওয়ার কারণ হতে পারে না। তাঁর বক্তব্য, ‘‘নিরাপত্তার কথা ভুলে যান। আমরা বিশ্বাস করি, কেউ মারা যাওয়ার হলে মারা যাবেই। জীবন, মৃত্যু সব ঈশ্বরের হাতে। আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না।’’ একই জায়গায় পাকিস্তান থাকলে কী হত? মিয়াঁদাদ বলেছেন, ‘‘ওরা যদি আজ আমাদের ডাকে, আমরা অবশ্যই যাব। চাইব সবাই ফিরে আসুক। বিষয়টা হচ্ছে, শেষ বার আমরা সফরে গিয়েছিলাম। তার পর থেকে ভারতীয় দল আর পাকিস্তানে আসেনি। এ বার কিন্তু ওদেরই আসার পালা।’’
আগামী সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানে এশিয়া কাপ হওয়ার কথা। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময়ই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব জয় শাহ বলেছিলেন, এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তানে যাবে না ভারতীয় দল। প্রয়োজন হলে প্রতিযোগিতার স্থান পরিবর্তন করা হবে। ভারতীয় বোর্ডের এই অবস্থান প্রকাশ্যে আসার পর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও জানায়, এক দিনের বিশ্বকাপের জন্য ভারতে দল পাঠাবে না তারা।
ভারতীয় বোর্ডের অবস্থানের সমালোচনা করে পাকিস্তানের একাধিক প্রাক্তন ক্রিকেটার সুর চড়িয়েছেন আগে। পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা অধিনায়ক ইমরান খান ভারতীয় বোর্ডকে অহঙ্কারী বলে তোপ দেগেছিলেন। কয়েক দিন আগেই তিনি বলেছিলেন, ‘‘টাকা আছে বলে নিজেদের সুপার পাওয়ার মনে করে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। অহঙ্কারীর মতো আচরণ করছে। তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেট সম্পর্ক। কাদের বিরুদ্ধে কোথায় খেলবে নিজেরাই ঠিক করে নেয় ভারত।’’ আইপিএলে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের খেলতে না দেওয়ারও সমালোচনা করেছিলেন ইমরান।
এ বার সুর চড়ালেন মিয়াঁদাদ। তাঁর যুক্তি, নিরাপত্তা আসলে ভারতীয় বোর্ডের অজুহাত। জন্ম বা মৃত্যু মানুষ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে ন। কার কখন কী হবে, কেউ জানে না। মৃত্যুকে কেউ ঠেকাতে পারে না। একটি সাক্ষাৎকারে মিয়াঁদাদ এশিয়া কাপ নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের অবস্থানের সমালোচনা করে এ কথা বলেছেন। উল্লেখ্য, এশিয়ান ক্রিকেট কনফেডারেশন এখনও এশিয়া কাপের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায়নি।