Stuart Broad

Stuart Broad: আরও এক বার ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বিশ্বরেকর্ডে নাম লেখা রইল স্টুয়ার্ট ব্রডের

এক ওভারে ৩৫ রান দিলেন ব্রড। ২৯ রান এল বুমরার ব্যাট থেকে। বুমরা ভাঙলেন লারার ১৮ বছরের পুরনো রেকর্ড। ব্রডও ভাঙলেন পিটারসনের রেকর্ড।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০২২ ১৮:১৮
Share:

ব্রডের এক ওভারে ২৯ রান নিলেন বুমরা। ছবি: রয়টার্স

৬,৬,৬,৬,৬,৬। এটা ২০০৭ সালের ঘটনা। ৪,৫,৭,৪,৪,৪,৬,১। দ্বিতীয় বল ওয়াইড, তৃতীয় বল নো। এটা ২০২২ সালের ঘটনা।

Advertisement

প্রথম ঘটনাটি ঘটেছিল ডারবানে। দ্বিতীয়টি ঘটল বার্মিংহামে। প্রথম বার ব্যাটার ছিলেন যুবরাজ সিংহ। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে ব্যাটার যশপ্রীত বুমরা। টি-টোয়েন্টি ম্যাচের এক ওভারে হয়েছিল ৩৬ রান। টেস্টের এক ওভারে হল ৩৫ রান। সে বার যুবরাজই ৩৬ রান করেছিলেন। এ বার বুমরা করেছেন ২৯ রান। বাকি ৬ রান অতিরিক্ত।

এতো গেল অমিলের কথা। দুই ঘটনায় মিলও রয়েছে কিছু। প্রথমত ব্যাট করা দলের নাম ভারত। দ্বিতীয়ত ফিল্ডিং করা দল ইংল্যান্ড। তৃতীয়ত এবং সবথেকে বড় মিল বোলারের নাম স্টুয়ার্ট ব্রড। মহম্মদ শামিকে আউট করে টেস্ট ক্রিকেটে ৫৫০তম উইকেট নেওয়ার উচ্ছ্বাস দীর্ঘ স্থায়ী হল না ইংল্যান্ডের অভিজ্ঞ বোলারের। ভারতের ইনিংসের ৮৪তম ওভারের এই ঘটনা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে ক্রিকেট বিশ্বে।

Advertisement

টেস্ট ক্রিকেটে এক ওভারে ৩৫ রান দেওয়ার ঘটনা আগে ঘটেনি। এর আগে সর্বোচ্চ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনার রবিন পিটারসনের এক ওভারে দেওয়া ২৮ রান। ২০০৩-০৪ মরসুমে ব্রায়ান লারা এক ওভারে ২৮ রান নিয়েছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটার জর্জ বেইলিও টেস্টের এক ওভারে ২৮ রান করেন। কিন্তু বাউন্ডারির হিসাবে লারা থেকে পিছিয়ে ছিলেন তিনি। এক ওভারে ২৯ রান করে লারার সেই রেকর্ড ভেঙে দিলেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক।

১৮ বছর পর লজ্জার রেকর্ডের ভারমুক্ত হয়ে ব্রডকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পিটারসন। তিনি মজা করে বলেছেন, ‘রেকর্ডটা হারিয়ে খারাপ লাগছে। রেকর্ড অবশ্য গড়াই হয় ভাঙার জন্য।’ এক ওভারে ব্রডের ৩৫ রান দেওয়া নিয়ে নেটমাধ্যমে লিখেছেন মন্তব্য করেছেন রবি শাস্ত্রীও। ভারতীয় দলের প্রাক্তন কোচ লিখেছেন, ‘আপনি যদি ভেবে থাকেন আপনার সেরাটা দেখা হয়ে গিয়েছে, তা হলে এই টেস্ট আপনাকে বিস্মিত করবে।’ লেখার সঙ্গে তিনি দু’ম্যাচের ব্যাটার-বোলারদের ছবিও পোস্ট করেছেন। টুইট করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডও।

টেস্টজীবনের জঘন্যতম ওভার করার পর ব্রডের মুখে দেখা গিয়েছে হতাশার হাসি। বুমরা তখন বেশ খুশি। দলকে ভাল জায়গায় পৌঁছে দিয়ে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement