বর্ডার-গাওস্কর ট্রফি নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স (বাঁ দিকে) এবং ভারতের অধিনায়ক যশপ্রীত বুমরা। ছবি: সমাজমাধ্যম।
একজন জীবনে দ্বিতীয় বার টেস্ট দলের অধিনায়ক হিসাবে নামছেন। আর একজনের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা বছর খানেক পেরিয়েছে। একজন প্রথম টেস্টেই হেরেছিলেন। আর একজন দলকে অধিনায়ক হিসাবে একের পর এক ট্রফি দিয়েছেন। সেখানে বিশ্বকাপ থেকে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ সবই রয়েছে। দু’জনের মধ্যে একটাই মিল। দু’জনেই জোরে বোলার এবং দেশের অধিনায়ক। এই আবহেই শুক্রবার টস করতে নামবেন যশপ্রীত বুমরা এবং প্যাট কামিন্স।
অতীতে জাতীয় দলকে সাফল্যের সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়েছেন কপিলদেব, ইমরান খান, ইয়ান বথাম, বব উইলিস, শন পোলক, ওয়াসিম আক্রমেরা। গত এক দশকে এই ধারা কমেই গিয়েছিল। প্রায় প্রতিটি দেশেই অধিনায়ক হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছিল দলের সেরা ব্যাটারকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ় সেই ধারা ভেঙে ড্যারেন স্যামিকে অধিনায়ক করে। এর পর অস্ট্রেলিয়া দায়িত্ব দেয় কামিন্সকে। সম্প্রতি নিউ জ়িল্যান্ডকে নেতৃত্ব দিয়েছেন টিম সাউদি। প্রশ্ন উঠছে, কপিল, ইমরানের যুগের মতো আবার কি জোরে বোলারদের নেতৃত্ব দেওয়ার পর্ব ফিরে আসছে?
প্রশ্ন উঠতেই বেশ মজা পেলেন কামিন্স। বললেন, “দারুণ লাগছে ব্যাপারটা। এ রকম আরও হওয়া উচিত। গত বছর নিউ জ়িল্যান্ড সিরিজ়ে সাউদিকে নেতৃত্ব দিতে দেখে ভাল লেগেছিল। খুব বেশি তো বদলের দরকার হয় না। জোরে বোলিংয়ের সমর্থক হিসাবে আমি চাইব আরও এ রকম ঘটনা ঘটুক।”
একই প্রশ্ন বুমরাকে করায় তিনি বললেন, “আমি তো বরাবরই জোরে বোলারদের অধিনায়ক হওয়ার পক্ষে বলেছি। ওরা কৌশলগত দিক থেকে অনেক নিখুঁত। প্যাট দারুণ নেতৃত্ব দিয়েছে। অতীতেও অনেক উদাহরণ রয়েছে। কপিল দেব ছাড়াও বাকিরা হয়েছে। আশা করা যায় একটা নতুন প্রথা এ বার চালু হবে।”
অধিনায়ক হওয়া কি একটা বোঝা? কতটা দ্রুত মানিয়ে নেওয়া যায়? বুমরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বললেন, “আমি পারি। কারণ আমি জানি কখন নিজে তরতাজা রয়েছি। কখন নিজেকে আর একটু চাপ দিতে পারি বা কখন বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে। আলাদা আলাদা চ্যালেঞ্জ থাকে তো বটেই। তবে আমার অনেক ক্ষেত্রেই সুবিধা হয়। বুঝতে পারি কখন উইকেট কেমন আচরণ করছে। কখন কী ভাবে বোলিং পরিবর্তন করতে হবে বুঝতে পারি।”
কামিন্স অবশ্য মেনে নিয়েছেন তাঁর মানিয়ে নিতে সময় লেগেছে। অসি অধিনায়কের কথায়, “হয়তো ১০টা টেস্ট লেগেছে পুরোপুরি স্বস্তি পেতে। তবে নিজেকে বিশেষ বদলাতে হয়নি। আমার অনুমানক্ষমতা আরও বেড়েছে। নতুন নতুন নেতৃত্বে আসার সবার প্রত্যেকে প্রচুর সাহায্য করেছে। কখনও একা লাগেনি আমার। আমি বেশির ভাগ সময় বাকিদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিই।”