ইংল্যান্ডের পেসার জিমি অ্যান্ডারসন। —ফাইল চিত্র।
অ্যাশেজ়ে একদিকে যখন ঝড় উঠেছে বেয়ারস্টো বিতর্ক নিয়ে, তখন অন্যদিকে এক কিংবদন্তি ক্রিকেটারকে নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তিনি জিমি অ্যান্ডারসন।
অ্যাশেজ় সিরিজ়ের প্রথম দু’টি টেস্টে ব্যর্থ হওয়ার পরে ইংল্যান্ডের এই বর্ষীয়ান পেসারকে নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। অনেক প্রাক্তন ক্রিকেটারই অ্যান্ডারসনকে বাদ দেওয়ার কথা বলেছেন। এই তালিকায় আছেন দুই প্রাক্তন অধিনায়ক। অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং এবং ইংল্যান্ডের মাইকেল ভন।
অ্যান্ডারসন আবার লন্ডনের দৈনিকে নিজের কলামে জানিয়েছেন, লর্ডসে ব্যর্থ হওয়ার কারণ মোটেই বয়স নয়। অ্যান্ডারসনের দাবি, পিচ ব্যাটসম্যানদের স্বর্গ করে রাখলে এমনটা হওয়া অস্বাভাবিক কিছুই নয়!পন্টিং বলেছেন, ‘‘এখন পর্যন্ত ইংরেজ বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে হতাশজনক বোলিং করেছে অ্যান্ডারসন। নতুন বল হাতে তুলে দিলে ওর মতো বোলারের কাছে দ্রুত উইকেট আশা করবে দল। এমন নয়, ও বল সুইং করাতে পারছে না। কিন্তু উইকেটই তো পাচ্ছে না!’’
অ্যান্ডারসন নিজের ব্যর্থতার কারণ নিয়ে বলেছেন, ‘‘শেষ দশ বছরে আমার এই ধরনের অভিজ্ঞতা কখনও হয়নি। অতীতে যে কোনও টেস্টে অন্তত একটা পর্বে সাফল্য পেয়েছি। অথচ মোটেই খারাপ বোলিং করছি বলে মনে হচ্ছে না। বরং বলা ভাল, আমার সময় খারাপ যাচ্ছে। যেটা অ্যাশেজ়ে কখনই কাম্য নয়।’’
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু লিডস টেস্টে অ্যান্ডারসনকে বাদ দিয়েই নামবে ইংল্যান্ড। এরই মধ্যে কাঁধে চোট পেয়ে সিরিজ় থেকে ছিটকে গেলেন ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যান অলি পোপ। পরিবর্তে এসেছেন ড্যান লরেন্স। ছিটকে গিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অফস্পিনার নেথান লায়নও। তাঁর জায়গায় নেওয়া হয়েছে টড মার্ফিকে।
এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে এসে ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক জো রুট বলে যান, বেয়ারস্টো বিতর্ক ভুলে গিয়ে সামনে এগোতে হবে। বলেছেন, ‘‘আমরা যে ধরনের ক্রিকেট খেলে আসছি, শেষ তিন টেস্টে সে রকমই মানসিকতা নিয়ে খেলব।’’