বিরাট কোহলি। —ফাইল চিত্র
২০১২ সালের আগে বিরাট কোহলির জীবন অন্য রকম ছিল। খেলার পাশাপাশি পার্টি, ট্যাটু নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন তিনি। কিন্তু ২০১২ সাল থেকে নিজের ফিটনেস নিয়ে প্রচুর পরিশ্রম করেন বিরাট। বদলে ফেলেন নিজেকে। ২০১২ সালের আগে বিরাটের কেরিয়ারের এক গোপন কথা ফাঁস করে দিয়েছেন তাঁর দীর্ঘ দিনের সতীর্থ ইশান্ত শর্মা।
দিল্লির হয়ে অনূর্ধ্ব-১৭ স্তর থেকে একসঙ্গে খেলছেন বিরাট ও ইশান্ত। অনূর্ধ্ব-১৯ স্তরের একটি ম্যাচের কথা বলেছেন ইশান্ত। তিনি বলেন, ‘‘আমরা কলকাতায় অনূর্ধ্ব-১৯ ম্যাচ খেলছিলাম। দিনের শেষে বিরাট অপরাজিত ছিল। পর দিন শুরু থেকে ওকে খেলতে হত। কিন্তু সারা রাত পার্টি করেছিল বিরাট। পর দিন মাঠে নেমে আবার ২৫০ রানও করেছিল। আমি বিরাটের সেই সময়টার সাক্ষী।’’
বিরাটের প্রতিটি বদল কাছ থেকে দেখেছেন ইশান্ত। কারণ, দিল্লি ও জাতীয় দলের হয়ে একসঙ্গে খেলেছেন তাঁরা। ইশান্ত বলেন, ‘‘বিরাট অনেক বদলে গিয়েছে। আমি ওর প্রতিটা বদলের সাক্ষী। ২০১২ সাল থেকে ও নিজের শরীরের যত্ন নিতে শুরু করে। বিশ্বকাপের পরে নিজের ডায়েটে নজর দেয়। পরিশ্রম করতে শুরু করে। ধীরে ধীরে বিশ্বের অন্যতম ফিট ক্রিকেটার হয়ে ওঠে বিরাট।’’ খাওয়া দাওয়ার বিষয়ে বিরাট অনেক সতর্ক হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ইশান্ত। তাঁর কথায়, ‘‘ফিট থাকতে পছন্দের ছোলে ভাটুরে বাদ দিতে হয়েছে বিরাটকে। এখন বছরে এক বা দু’বার ওকে ওই সব খাবার খেতে দেখি।’’
বিরাট নিজেও অনেক বার তাঁর জীবনে এই বদলের কথা বলেছেন। আগে তিনি যা খেতেন, বা যতটা সময় পার্টি করতেন সে সব অভ্যাস বদলে ফেলেছেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। বদলে দিনের বেশির ভাগ সময় এখন জিম বা অনুশীলনে কাটে। বাকি সময় পরিবারের সঙ্গে কাটান। এই বদলের জন্য স্ত্রী অনুষ্কা শর্মা ও কন্যা ভামিকাকেও কৃতিত্ব দিয়েছেন বিরাট।