(বাঁদিকে) ইশান্ত শর্মা এবং জাহির খান। ছবি: টুইটার।
জাহির খান সাহায্যের হাত বাড়িয়ে না দিলে এক দিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক পিছিয়ে যেত ইশান্ত শর্মার। ১৬ বছর পর দক্ষিণ আফ্রিকার বেলফাস্টের সেই ঘটনার কথা জানিয়েছেন ইশান্ত নিজেই। সেই সাহায্যের জন্য ইশান্ত এখনও কৃতজ্ঞ জাহিরের কাছে।
সেই সফরে ভারতীয় দলের সঙ্গে যাননি ইশান্ত। পরে একা দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নির্দেশে। তখন বিদেশে বিমান যাত্রায় অভ্যস্ত ছিলেন না ইশান্ত। দক্ষিণ আফ্রিকায় পৌঁছে এক বড় সমস্যায় পড়েছিলেন ইশান্ত। হারিয়ে গিয়েছিল কিট ব্যাগ-সহ তাঁর সব ব্যাগ। চুরি হয়ে গিয়েছিল সব টাকাও। ফলে দলের সঙ্গে অনুশীলনও করতে পারেননি দক্ষিণ আফ্রিকায় পৌঁছে। সেই পরিস্থিতিতে অভিষেক হয়েছিল তাঁর।
ইশান্ত বলেছেন, ‘‘হাতের ব্যাগ ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকায় আমার সঙ্গে কিছু ছিল না। অনুশীলনও করতে পারিনি প্রথম দিন। দ্বিতীয় দিন সকালে এসে রাহুল দ্রাবিড় আমাকে বলেছিল, ‘কাল তুমি অভিষেক ম্যাচ খেলবে।’ আমি বলেছিলাম, ‘খালি পায়ে তো খেলা সম্ভব নয়। অনুশীলনও করতে পারছি না।’ তার পর জাহিরকে অনুরোধ করেছিলাম এক জোড়া ১১ নম্বর জুতোর ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য। যাতে অভিষেক ম্যাচটা খেলতে পারি। জাহির কয়েকটা জুতো নিয়ে এসেছিল। কিন্তু কোনওটাই আমার পায়ে হচ্ছিল না। দলের কারও জুতো আমার মাপের ছিল না। তার থেকেই একটা জুতো পরে প্রথম এক দিনের ম্যাচ খেলেছিলাম। ভাল করে জুতোয় পা ঢোকাতে পারিনি। খুব অস্বস্তি হয়েছিল। তাই নিয়েই খেলেছিলাম প্রথম এক দিনের ম্যাচ।’’
কেমন ছিল তখন সাজঘরের পরিবেশ? ইশান্ত বলেছেন, ‘‘তখন ভারতের তারকাখচিত সাজঘর। দ্রাবিড় ছাড়াও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, হরভজন সিংহ, যুবরাজ সিংহ, ওয়াসিম জাফরের মতো ক্রিকেটারেরা ছিল।’’ আপনি কি চাপ অনুভব করেছিলেন সেই সাজঘরে? ইশান্ত বলেছেন, ‘‘প্রথমে একটু চাপ লাগছিল। কিন্তু জাহির সব স্বাভাবিক করে দিয়েছিল। তার পর আর কিছু মনে হয়নি।’’
২০২১ সালের নভেম্বরের পর আর ভারতের হয়ে খেলার সুযোগ হয়নি ৩৪ বছরের জোরে বোলারের। দেশের হয়ে ১০৫টি টেস্ট, ৮০টি এক দিনের ম্যাচ এবং ১৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন ইশান্ত। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর ৪৩৪টি উইকেট রয়েছে।