ধারাভাষ্য দেওয়ার শুরুতে সুনীল গাওস্কর (বাঁ দিকে), সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়দের (ডান দিকে) দেখে ভয় পেয়েছিলেন ইশা গুহ। তাঁকে উদ্ধার করেন শেন ওয়ার্ন। —ফাইল চিত্র
ক্রিকেট ছাড়ার পর থেকে ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায় দেখা যায় ইশা গুহকে। ইংল্যান্ডের এই প্রাক্তন ক্রিকেটার ধারাভাষ্যকার হিসাবে জনপ্রিয়। কিন্তু শুরুটা সহজ ছিল না বলে জানিয়েছেন ইশা। কারণ, সেই সময় মহিলা ধারাভাষ্যকার ছিল না বললেই চলে। পুরুষতান্ত্রিক ধারাভাষ্যকারের বক্সে তাঁকে আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছিলেন শেন ওয়ার্ন। অস্ট্রেলিয়ার প্রয়াত প্রাক্তন ক্রিকেটারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইশা।
২০১৮ সাল থেকে ধারাভাষ্যকার হিসাবে কাজ করেন ইশা। একটি সাক্ষাৎকারে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন তিনি। ইশা বলেছেন, ‘‘আমার জীবনে ওয়ার্নের বড় ভূমিকা রয়েছে। এমন নয় যে বাকি ক্রিকেটারদের আমি শ্রদ্ধা করি না, কিন্তু ওয়ার্ন আমার কাছে সম্পূর্ণ আলাদা এক জন ব্যক্তি। ধারাভাষ্যকার হিসাবে তিনি আমাকে প্রথম দিন থেকে সম্মান করেছেন। তাঁকে দেখে বাকি ধারাভাষ্যকাররা আমাকে সম্মান করেছেন। ফলে আমার কাজটা অনেক সহজ হয়েছে।’’
নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন ইশা গুহ —ফাইল চিত্র
প্রথম প্রথম ধারাভাষ্য দিতে গিয়ে তাঁর কিছুটা ভয় লাগত বলে জানিয়েছেন ইশা। সুনীল গাওস্কর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, রবি শাস্ত্রীর মতো ধারাভাষ্যকারদের তখন রাজত্ব। শুরুতে কিছুটা ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন ইশা। তাঁর সেই ভয় কাটান ওয়ার্ন। ইশা বলেছেন, ‘‘প্রথম বার ধারাভাষ্য দিতে গিয়ে ওয়ার্নকে দেখেছিলাম। উনি আমাকে বেশি পাত্তা না দিতেও পারতেন। কিন্তু ওয়ার্ন সেটা করেননি। আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছেন। নিজের উপর বিশ্বাস রাখার শিক্ষা দিয়েছেন। তাঁর কাছ থেকেই আত্মবিশ্বাস পেয়েছি। সেই বিশ্বাস রেখে এখনও কাজ করে যাচ্ছি।’’
গত বছর ৪ মার্চ প্রয়াত হন ওয়ার্ন। বন্ধুদের সঙ্গে ছুটি কাটাতে গিয়ে তাইল্যান্ডে মৃত্যু হয় টেস্টে ৭০৮ উইকেটের মালিকের। তবে চিকিৎসকেরা জানান, স্বাভাবিক কারণেই মৃত্যু হয়েছে ওয়ার্নের। তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে মেলবোর্নে একটি স্ট্যান্ডের নাম তাঁর নামে রাখা হয়েছে।