বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে (বাঁ দিকে) বিরাট কোহলি, (মাঝখানে) অজিঙ্ক রাহানে এবং (ডান দিকে) রোহিত শর্মা। ছবি: পিটিআই।
এ বারও বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পারল না ভারত। গত বার নিউজিল্যান্ডের কাছে হারার পর এ বার রোহিত শর্মার দলকে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারতে হল ২০৯ রানে। টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া ৪৬৯ রান তোলে। জবাবে ভারতের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ২৯৬ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ উইকেটে ২৭০ রান তুলে অস্ট্রেলিয়া ডিক্লেয়ার করে দেয়। জেতার জন্য ভারতের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪৪৪ রান। রোহিত, কোহলিরা ২৩৪ রানে শেষ হয়ে যান। প্রথম ইনিংসে ১৭৪ বলে ১৬৩ রান করার জন্য ম্যাচের সেরা হন অস্ট্রেলিয়ার ট্রেভিস হেড।
গত ১০ বছরে কোনও বড় প্রতিযোগিতায় জিততে পারল না ভারত। আইসিসি-র প্রতিযোগিতাগুলিতে শুধুই ব্যর্থতা ভারতীয় দলের। রোহিত এবং কোচ রাহুল দ্রাবিড় সরাসরি না বললেও বুঝিয়ে দিয়েছেন, টেস্টে তাঁদের খারাপ পারফর্ম্যান্সের জন্য আইপিএলই দায়ী। আইপিএলের পর মাত্র ১০ দিনের তফাতে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলতে হওয়াটা তাঁরা মেনে নিতে পারছেন না। হতাশ রোহিত ভারতের টেস্ট দলে বদলও চেয়েছেন। তিনি অবশ্য টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দু’টি নিয়ম নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর প্রশ্ন শুভমন গিলের বিতর্কিত ক্যাচ আউট নিয়েও। এই ক্যাচ নিয়ে প্রকাশ্যে প্রশ্ন তুলে খোদ শুভমন শাস্তির মুখএ পড়তে পারেন। এ দিকে, ম্যাচের পর দ্রাবিড়কে কড়া প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন ধারাভাষ্যকার হিসাবে থাকা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে হারলেও মোটা টাকা পুরস্কার পাচ্ছেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের সদস্যরা।
মধ্যাহ্নভোজের আগেই আত্মসমর্পণ
মনে করা হয়েছিল শেষ দিন ভারতীয় দল লড়াই করবে। ৪৪৪ রানের লক্ষ্য সামনে রেখে ৩ উইকেটে ১৬৪ রান নিয়ে খেলা শুরু করে ভারত। কিন্তু স্কট বোলান্ডের বলে অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচ মেরে আউট হন বিরাট। বলের লাইন নিয়ে সন্দেহ ছিল। তাতেই আউট। মাত্র দু’টি বল খেলে সেই ওভারেই রবীন্দ্র জাডেজা আউট হয়ে যান। পরে অজিঙ্ক রাহানে আউট হতে জয়ের আশাও ছেড়ে দেয় ভারত। বাকিদের উইকেট যাওয়া ছিল সময়ের অপেক্ষা। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের মধ্যে নাথন লায়ন ৪টি, বোলান্ড ৩টি, মিচেল স্টার্ক ২টি এবং প্যাট কামিন্স ১টি উইকেট নেন।
১০ বছরে শুধুই ব্যর্থতা
২০১৩ সালে শেষ বার আইসিসি-র কোনও প্রতিযোগিতা জিতেছিল ভারত। ইংল্যান্ডের মাটিতে ইংল্যান্ডকে হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। তার পর থেকে গত ১০ বছরে বার বার বড় প্রতিযোগিতায় ব্যর্থ হয়েছে ভারত। নেতৃত্বের ব্যাটন ধোনির হাত থেকে বিরাট হয়ে রোহিতের হাতে গিয়েছে। কিন্তু ফল বদলায়নি। বার বার আইসিসি প্রতিযোগিতার সেমিফাইনাল বা ফাইনালে গিয়ে হারতে হয়েছে দলকে। গত ১০ বছরে ৮ বার কোনও আইসিসি প্রতিযোগিতার সেমিফাইনাল বা ফাইনালে উঠেছে ভারত। ৮ বারই হেরেছে তারা।
দায়ী আইপিএলই
আইপিএল শেষ হওয়ার পর ১০ দিনের মাথায় শুরু হয় বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। ফলে ভারতের হাতে প্রস্তুতি নেওয়ার সময় ছিল খুবই কম। রবিবার হারের পর রোহিত এবং দ্রাবিড়ের কথায় উঠে এসেছে সেই প্রস্তুতির অভাব। দু’জনেই পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, আরও বেশি প্রস্তুতির সময় পাওয়া গেলে ভাল হত। রোহিত বলেন, “এ রকম গুরুত্বপূর্ণ একটা ম্যাচের আগে দুটো দলেরই সমান সুবিধা পাওয়া উচিত। আগের বার যখন ইংল্যান্ডে এসেছিলাম তখন প্রস্তুতি নেওয়ার জন্যে হাতে ২৫-৩০ দিন ছিল। আপনারা ফলাফল দেখতে পেয়েছিলেন। করোনার কারণে শেষ ম্যাচ স্থগিত হয়ে যাওয়ার আগে পর্যন্ত আমরা ২-১ এগিয়ে ছিলাম। সত্যি করেই আমরা প্রস্তুতির জন্যে একটু বেশি সময় চেয়েছিলাম। যাতে বোলাররা যথেষ্ট বিশ্রাম পেতে পারে। এ ধরনের ম্যাচে ২৫-৩০ দিন সময় পাওয়া গেলে খুবই ভাল হত।” দ্রাবিড় বলেন, “কোচ হিসাবে কখনওই এ ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে আমি খুশি হতে পারি না। কিন্তু এটাই বাস্তব। আমাদের মানতেই হবে। সূচি এতটাই কঠিন। দলের ক্রিকেটাররা জানে যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এ ভাবেই খেলতে হয়। যদি তিন সপ্তাহ এখানে থাকতাম এবং দুটো প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতাম, তা হলে আরও ভাল প্রস্তুত হতে পারতাম। কিন্তু পরিস্থিতি সে রকম ছিল না। তাই যেটা পেয়েছি সেটা নিয়েই খুশি। কোনও অজুহাত দিতে চাই না। অস্ট্রেলিয়াকে ধন্যবাদ। পাঁচ দিনই ওরা আমাদের থেকে ভাল খেলেছে।”
(উপরে) গ্রিনের নেওয়া এই ক্যাচ নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। (নীচে) তৃতীয় আম্পায়ারের আউটের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ রোহিত, হতাশ শুভমন। ছবি: সংগৃহীত।
ক্যাচ বিতর্ক
গিলের বিতর্কিত আউটে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য না করলেও টেস্ট বিশ্বকাপ ফাইনালের পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন ভারত অধিনায়ক। তুলনা টেনেছেন আইপিএলের। রোহিত বলেছেন, ‘‘আমার মনে হয় তৃতীয় আম্পায়ার আরও বেশি বার রিপ্লে দেখতে পারতেন। ক্যাচটা ঠিক ভাবে ধরা হয়েছে কিনা, সেটা সম্পর্কে আরও নিশ্চিত হওয়া দরকার ছিল। তিন বা চার বার দেখেই উনি সন্তুষ্ট হয়ে গেলেন যে, ক্যাচ ঠিক মতো ধরা হয়েছে!’’ আইপিএলের উদাহরণ দিয়ে রোহিত বলেছেন, ‘‘আইপিএলে অন্তত ১০টা ক্যামেরায় বিভিন্ন দিক থেকে দেখার সুযোগ থাকে। জানি না বিশ্ব পর্যায়ের এমন একটা ফাইনাল ম্যাচে কেন আল্ট্রা মোশনের ব্যবস্থা ছিল না। কেন আরও বেশি ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়নি। আরও জ়ুম করেও দেখা যেতে পারত। বিষয়টা সত্যিই আমাকে হতাশ করেছে।’’
তৃতীয় আম্পায়ারের ভূমিকা নিয়ে রোহিত বলেছেন, ‘‘মনে হয় একটু দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই ধরনের ক্যাচ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ১০০ শতাংশের বেশি নিশ্চিত হওয়া উচিত। আমরা টেস্ট বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলছিলাম। তখন ম্যাচের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে ছিলাম। তাই আরও বেশি হতাশ লাগছে। আরও বেশি ক্যামেরায় রিপ্লেটা দেখা উচিত ছিল। আরও বেশি দিক থেকে ক্যাচটা দেখা যেতে পারত। মাত্র দু’একটা ক্যামেরায় ক্যাচের রিপ্লে দেখানো হল। আইপিএলও এর থেকে বেশি ক্যামেরায় কভার করা হয়।’’
রোহিত আরও বলেছেন, ‘‘সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল না ভুল সেটার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে একটা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সেটার ব্যাপারে যথেষ্ট তথ্য থাকা দরকার। শুধু ক্যাচ নয়। যে কোনও ব্যাপারেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সম্পূর্ণ নিশ্চিত হওয়া দরকার। সেটা না হওয়ায় আমি ভীষণ হতাশ।’’
নিয়ম না-পসন্দ রোহিতের
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের নিয়মে বদল চান রোহিত শর্মা। হেরে গিয়ে ভারতীয় অধিনায়ক চাইলেন তিন ম্যাচের সিরিজ়। গত বার নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে হেরে যাওয়ার পর একই কথা বলেছিলেন সেই সময়ের ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তিনিও তিন ম্যাচের সিরিজ় চেয়েছিলেন ফাইনালে। রোহিত বলেন, “খুব ভাল হয় তিন ম্যাচের ফাইনাল হলে। কিন্তু এত সময় কি পাওয়া যাবে? সেটাই বড় প্রশ্ন। তবে এমন বড় মঞ্চে দুই দলের সমান সুযোগ পাওয়া উচিত। তিন ম্যাচের সিরিজ় হলে ভালই হয়। দু’বছর ধরে এত পরিশ্রমের পর একটা ম্যাচ হারতেই সব শেষ। টেস্ট ক্রিকেটে একটা ছন্দ প্রয়োজন হয়। সেটা এক ম্যাচে সম্ভব নয়। পরের বার যদি সম্ভব হয় তাহলে তিন ম্যাচের সিরিজ় হোক।” রোহিত আপত্তি জানান বার বার ইংল্যান্ডে ফাইনাল হওয়া নিয়েও। তিনি বলেন, “শুধু জুন মাসে কেন ফাইনাল হবে। ফেব্রুয়ারি, মার্চেও তো হতে পারে। বছরের যে কোনও সময় বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল হতে পারে। অন্য দেশেও হতে পারে। শুধু ইংল্যান্ডে কেন ফাইনাল হবে।”
সৌরভের প্রশ্ন দ্রাবিড়কে
ম্যাচের পর ধারাভাষ্যকার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় পরিসংখ্যান নিয়ে হাজির ছিলেন দ্রাবিড়ের সামনে। দু’টি কড়া প্রশ্ন করেন। দ্রাবিড় কোনও মতে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু যুক্তি দিয়ে উত্তর তাঁর কাছে ছিল না। সৌরভ বলেন, ‘‘তোমাকে যত টুকু চিনি তা থেকে বুঝেছি, ক্রিকেটার হিসাবে তুমি প্রথমে চাপ নিয়ে নেওয়ার পক্ষপাতী ছিলে। পঞ্চম দিনে গিয়ে চাপ নিতে হবে, এমন পরিস্থিতি তুমি আসতে দিতে না। তা হলে এই ম্যাচে সেটার ব্যতিক্রম হল কেন? স্রেফ একটা টেস্ট বলেই, নাকি আর কোনও পরিকল্পনা ছিল?’’ জবাবে দ্রাবিড় বলেন, ‘‘ম্যাচের আগে সকালে যখন এসেছিলাম তখন উইকেটে ঘাস ছিল। আকাশ মেঘলা ছিল। ইংল্যান্ডে দেখেছি পরের দিকে ব্যাট করা সহজ হয়ে যায়। চতুর্থ বা পঞ্চম দিন সহজে ব্যাট করা যায়। অনেক দলই এখন টসে জিতে ফিল্ডিং করে। ওদের স্কোর ৭০-৩ থাকার সময় মনে হয়েছিল সিদ্ধান্ত সঠিক। তার পরের দুটো সেশন সব বদলে দিল। যদি তিনশোর সামান্য বেশি রানেও ওদের আটকে রাখতে পারতাম তা হলে ম্যাচে থাকতাম এবং চতুর্থ ইনিংসে ভাল খেলা হত। এর আগে এজবাস্টনে খেলার সময় পরের দিকে ব্যাট করা সহজ হয়ে গিয়েছিল। ৪৪৪ অনেক বেশি ছিল। কিন্তু ৩০০-৩২০ রান থাকলে সেটা আমরা তাড়া করে ফেলতে পারতাম।’’ সৌরভের দ্বিতীয় প্রশ্ন ছিল, ‘‘আজ সকালেই একটা পরিসংখ্যান দেখছিলাম। গত ৪-৫ বছরে তোমাদের টপ অর্ডারের ব্যাটারদের পারফরম্যান্স একদমই ভাল নয়। মাত্র ২০, ২২, ২৬ গড়! এটা ২০-২৫ ইনিংসের পরিসংখ্যান। তুমি এক বছর ধরে দলের সঙ্গে রয়েছ। কিন্তু ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে যে রকম খেলে এসেছ, সে রকম দেখা যাচ্ছে না। তুমি বিশ্বাস করো যে স্কোরবোর্ডে বড় রান তুললে ম্যাচ জেতা সহজ হয়। তা হলে এই সমস্যাটা কী ভাবে সমাধান করবে?’’ দ্রাবিড় বলেন, ‘‘প্রথম পাঁচে থাকা ক্রিকেটাররা বেশ অভিজ্ঞ। তিন, চার, পাঁচে খেলা ক্রিকেটাররা ভবিষ্যতে হয়তো কিংবদন্তি হয়ে যাবে। এরাই গিয়ে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডে জিতেছে। তবে ওদের যে মান, তার সঙ্গে মোটেই মানানসই নয় এটা। ওরাও সেটা স্বীকার করবে। হয়তো ওরা নিজেদের সেরাটাই দিচ্ছে। তা ছাড়া, বিদেশের উইকেট অন্য রকমের হয়। অনেক কঠিন পিচে আমাদের খেলতে হয়। এখানকার উইকেট বেশ ভাল ছিল। কিন্তু অনেক জায়গায় ছিল না। এই প্রতিযোগিতায় সব ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ। কোনও ম্যাচ ড্রয়ের জন্যে খেলা চলে না। ভারতেও পিচ কঠিন হয়ে গিয়েছে। বিদেশেও তাই। এ কারণে সবার গড় নীচে নেমে গিয়েছে। শুধু আমাদের দেশের ক্রিকেটারদের নয়। রান পেলেই আত্মবিশ্বাস বাড়বে।’’
শাস্তি পাবেন শুভমন?
আইসিসির শাস্তির মুখে পড়তে পারেন শুভমন। গ্রিনের নেওয়া ক্যাচ নিয়ে টুইট করায় শাস্তি হতে পারে ভারতীয় ওপেনারের। চতুর্থ দিনের খেলা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একটি ছবি টুইট করেন শুভমন। সেখানে দেখা যাচ্ছে গ্রিনের হাতে বল এবং সেটি মাটি ছুঁয়ে রয়েছে। ছবির উপরে কোনও কিছু না লিখলেও শুভমন দু’টি আতশ কাচের ইমোজি দেন। সেই সঙ্গে দেন একটি ছেলের হতাশায় মুখ ঢাকার ইমোজি। ইঙ্গিতপূর্ণ এই টুইটের কারণেই শুভমনের শাস্তি হতে পারে। আইসিসির নিয়মে ২.৭ ধারায় লেখা আছে যে, এক জন ক্রিকেটার কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচের ঘটনা, ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ, ম্যাচ অফিসিয়াল বা দলের সমালোচনা করলে প্রথম বা দ্বিতীয় লেভেলের শাস্তি পেতে পারেন। শুভমনকে শাস্তি দেওয়া হয় তাহলে আর্থিক জরিমানা হতে পারে। প্রথম লেভেলের শাস্তি হলে ম্যাচ ফি-র ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কাটা হতে পারে তাঁর। সেই সঙ্গে শুভমনকে সতর্ক করে এক বা দু’টি ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হতে পারে। দ্বিতীয় লেভেলের শাস্তি হলে ম্যাচ ফি-র ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ কাটা হতে পারে শুভমনের। সেই সঙ্গে চারটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হতে পারে। যার অর্থ শুভমনকে একটি টেস্ট বা দু’টি নির্ধারিত ওভারের আন্তর্জাতিক ম্যাচে নির্বাসিত করা হতে পারে। কিন্তু শুভমনের শাস্তি নির্ভর করবে ম্যাচ রেফারির উপর।
বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া ছবি: পিটিআই।
রোহিতদের পকেটে কোটি টাকা
হারলেও পুরোপুরি খালি হাতে ফিরছেন না রোহিতরা। পকেটে ঢুকছে প্রায় সাত কোটি টাকা। টেস্ট বিশ্বকাপের ফাইনালে হারার ফলে ৮ লক্ষ ডলার পাবে ভারতীয় বোর্ড, যা ৬.৬ কোটি টাকার সমান। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া পাবে ১৬ লক্ষ ডলার, যা প্রায় ১৩.২ কোটি টাকা। প্রসঙ্গত, আইপিএল জয়ী দল পেয়েছে ২০ কোটি টাকা। উল্লেখ্য, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে খেলা প্রতিটি দলই কিছু না কিছু পাবে। তবে সেটা পয়েন্ট তালিকায় তাদের অবস্থানের বিচারে। যেমন দক্ষিণ আফ্রিকা তৃতীয় স্থানে শেষ করায় সাড়ে চার লক্ষ ডলার বা ৩ কোটি ৭১ লক্ষ টাকা পাবে। ইংল্যান্ড পাবে সাড়ে তিন লক্ষ ডলার বা ২ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা। শ্রীলঙ্কা পাবে ১ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা। এর পরে ছয় থেকে নয় নম্বরে শেষ করা যথাক্রমে নিউ জ়িল্যান্ড, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ় এবং বাংলাদেশ ১ লক্ষ ডলার বা ৮২ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা করে পাবে।