রাহুল দ্রাবিড় এবং রোহিত শর্মা। ছবি: পিটিআই
আইপিএল শেষ হওয়ার কথা ছিল ২৮ মে। কিন্তু বৃষ্টির কারণে তা শেষ হতে প্রায় তিন দিন সময় লেগে যায়। এ দিকে, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল শুরু হওয়ার কথা ছিল ৭ জুন। ফলে ভারতের হাতে প্রস্তুতি নেওয়ার সময় ছিল খুবই কম। কিছু ক্রিকেটার আগে পৌঁছে গিয়েছিলেন ঠিকই। কিন্তু মহম্মদ শামি, রবীন্দ্র জাডেজার মতো আইপিএল ফাইনাল খেলা বোলারদের পৌঁছতে দেরি হয়েছে। ফলে যথেষ্ট প্রস্তুতি নেওয়ার সময় পাননি তাঁরা। ফাইনালেও তার প্রভাব পড়েছে। বিশ্ব টেস্ট ফাইনালে হারের পর অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের কথায় উঠে এল প্রস্তুতির অভাব। দু’জনেই পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, আরও বেশি প্রস্তুতির সময় পাওয়া গেলে ভাল হত।
দু’মাস টানা আইপিএল খেলে বোলাররা ক্লান্ত ছিলেন। তার উপর, ক্রিকেটের ধুমধাড়াক্কা ফরম্যাট থেকে আচমকা টেস্ট বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলতে আসা মোটেই সহজ নয়। ফাইনালে বাস্তবিকই ভারতীয় বোলারদের ক্লান্ত দেখাল। সেখানে অস্ট্রেলিয়ার স্কট বোলান্ড, মিচেল স্টার্ক, নেথান লায়নরা অনেক খোলামনে এবং ফুরফুরে মেজাজে বল করতে পেরেছেন। ম্যাচে দাপটও ছিল তাঁদেরই।
রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে রোহিতকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বলেন, “এ রকম গুরুত্বপূর্ণ একটা ম্যাচের আগে দুটো দলেরই সমান সুবিধা পাওয়া উচিত। আগের বার যখন ইংল্যান্ডে এসেছিলাম তখন প্রস্তুতি নেওয়ার জন্যে হাতে ২৫-৩০ দিন ছিল। আপনারা ফলাফল দেখতে পেয়েছিলেন। করোনার কারণে শেষ ম্যাচ স্থগিত হয়ে যাওয়ার আগে পর্যন্ত আমরা ২-১ এগিয়ে ছিলাম। সত্যি করেই আমরা প্রস্তুতির জন্যে একটু বেশি সময় চেয়েছিলাম। যাতে বোলাররা যথেষ্ট বিশ্রাম পেতে পারে।”
রোহিত মেনে নিয়েছেন দু’টি আলাদা ফরম্যাটে বল করার জন্য মাঝের এই স্বল্প সময় যথেষ্ট নয়। তাঁর কথায়, “কখনও কখনও কাজটা কঠিন হয়ে পড়ে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পুরোপুরি আলাদা লেংথ এবং লাইনে বল করতে হয়। টেস্ট ক্রিকেটে অনেক শৃঙ্খলা, এক জায়গায় ক্রমাগত বল করে যাওয়ার মতো ক্ষমতা থাকতে হয়। তবে শামি, সিরাজরা যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়েছে ম্যাচের আগে। কিন্তু এ ধরনের ম্যাচে ২৫-৩০ দিন সময় পাওয়া গেলে খুবই ভাল হত।”
তার আগে দ্রাবিড়কে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বলেন, “কোচ হিসাবে কখনওই এ ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে আমি খুশি হতে পারি না। কিন্তু এটাই বাস্তব। আমাদের মানতেই হবে। সূচি এতটাই কঠিন। দলের ক্রিকেটাররা জানে যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এ ভাবেই খেলতে হয়। যদি তিন সপ্তাহ এখানে থাকতাম এবং দুটো প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতাম তা হলে আরও ভাল প্রস্তুত হতে পারতাম। কিন্তু পরিস্থিতি সে রকম ছিল না। তাই যেটা পেয়েছি সেটা নিয়েই খুশি। কোনও অজুহাত দিতে চাই না। অস্ট্রেলিয়াকে ধন্যবাদ। পাঁচ দিনই ওরা আমাদের থেকে ভাল খেলেছে।”