আইপিএলের কলকাতা ফ্র্যাঞ্চাইজ়িতে খেলার সুযোগ পেয়ে খুশি গুরবাজ়। ছবি: টুইটার।
আগামী মরসুমের জন্য দল গোছাতে শুরু করেছে আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজ়িগুলি। ট্রান্সফার উইন্ডোর সুযোগ নিয়ে গত বারের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন গুজরাত টাইটান্সের দুই ক্রিকেটারকে ঘরে তুলেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। নিউজ়িল্যান্ডের অলরাউন্ডার লকি ফার্গুসন এবং আফগানিস্তানের উইকেট রক্ষক-ব্যাটার রহমানুল্লাহ গুরবাজ় এসেছেন কেকেআরে। কলকাতার ফ্র্যাঞ্চাইজ়িতে যোগ দিতে পেরে উচ্ছ্বসিত আফগান ক্রিকেটার।
কলকাতার অন্যতম সদস্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানকে নেতৃত্ব দেওয়া মহম্মদ নবি। এ বার আরও এক আফগান ক্রিকেটার এলেন নাইটদের সংসারে। উইকেট রক্ষার পাশাপাশি আগ্রাসী ওপেনিং ব্যাটার হিসাবেও পরিচিত গুরবাজ়। গত মরসুমের আইপিএলে কলকাতার কোনও উইকেট রক্ষকই তেমন সাফল্য পাননি। মোট তিন জন উইকেট রক্ষককে খেলান শ্রেয়স আয়ার, ব্রেন্ডন ম্যাকালামরা। কিন্তু কেউই ভরসা দিতে পারেননি দলকে। এই তথ্য অজানা নয় আফগান উইকেট রক্ষকের।
কেকেআরে যোগ দেওয়ার পর সমাজমাধ্যমে নিজের অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন গুরবাজ়। তাতে তিনি বলেছেন, ‘আমি রহমানুল্লাহ গুরবাজ় বলছি। কেকেআর পরিবারের সদস্য হতে পেরে আমি উচ্ছ্বসিত। আমার উপর আস্থা রাখার জন্য দলের কোচ এবং কর্তাদের ধন্যবাদ। কেকেআরের জন্য নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব। সবাইকে ধন্যবাদ। সকলের সঙ্গে তাড়াতাড়ি দেখা হবে। সবাই ভাল থাকবেন।’
২০২২ সালের আইপিএলের নিলামে গুরবাজ়কে দলে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল কেকেআর। কিন্তু তাঁকে ছিনিয়ে নেয় গুজরাত। ইংল্যান্ডের জেসন রয়ের পরিবর্ত হিসাবে তাঁকে দলে নেয় গুজরাত। যদিও কোনও ম্যাচেই খেলানো হয়নি তাঁকে। কেকেআর এ বার ছেড়ে দিয়েছে ইংল্যান্ডের উইকেট রক্ষক-ব্যাটার স্যাম বিলিংসকে। তাঁর পরিবর্তেই দলে নেওয়া হয়েছে গুরবাজ়কে। ২০ বছরের আফগান ক্রিকেটার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ধারাবাহিক ভাবে ভাল পারফরম্যান্স করছেন। তাই তিনি শ্রেয়সের দলের ভারসাম্য বাড়াতে পারবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্য দিকে ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত কলকাতার ক্রিকেটার ছিলেন ফার্গুসন। নিউজ়িল্যান্ডের অলরাউন্ডারও দলের শক্তি বাড়াবেন বলে আশাবাদী কেকেআর কর্তৃপক্ষ। গত মরসুমে গুজরাতের হয়ে ১৩টি ম্যাচ খেলে ১২টি উইকেট নেন ফার্গুসন। একটি ম্যাচে ৪ উইকেটও নেন তিনি। ২০২১ সালে কলকাতার হয়ে ফার্গুসন আটটি ম্যাচ খেলে নিয়েছিলেন ১৩টি উইকেট। সে বার কেকেআরকে ফাইনালে তোলার পিছনে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল।