দেশের ক্রিকেট নিয়ে আশাবাদী আফ্রিদি। ফাইল ছবি।
কিছু দিন আগেই বাবর আজ়মদের পারফরম্যান্স এবং পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সমালোচনায় মুখর ছিলেন। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুরুতে ভারত এবং জ়িম্বাবোয়ের কাছে পাকিস্তান হারার পর। দল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠায় কয়েক দিনের ব্যবধানেই অবস্থান বদলে ফেললেন শাহিদ আফ্রিদি। দেশের ক্রিকেট নিয়ে আশাবাদী আফ্রিদির মনে পড়ছে কঠিন দিনগুলোর কথা।
এশিয়া কাপের পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালেও ট্রফি অধরা বাবরদের। তবু আশার আলো দেখছেন আফ্রিদি। তাঁর মতে, পাকিস্তান ক্রিকেটের কঠিন সময় শেষ হয়ে গিয়েছে। এ বার সামনে এগিয়ে যাওয়ার সময়। রবিবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের দিন টেলিভিশনের একটি অনুষ্ঠান অংশ নিয়ে ছিলেন আফ্রিদি। তিনি বলেন, ‘‘কঠিন সময় আমরা পিছনে ফেলে এসেছি। বিভিন্ন দল এখন পাকিস্তান সফরে আসছে। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড খেলে গিয়েছে। আমাদের দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা অনেক দিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বঞ্চিত ছিলেন।’’
নিরাপত্তার প্রশ্নে কয়েক বছর পাকিস্তান সফরে যায়নি কোনও দল। যার প্রভাব পড়েছে সে দেশের ক্রিকেটে। আফ্রিদি বলেছেন, ‘‘আমাদের মাঠগুলোয় খেলা হত না। অনেক মাঠ বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য ব্যবহার করা হত। পাকিস্তান ক্রিকেটের খুব কঠিন সময় ছিল সেটা। দেশের মানুষের সামনে, সমর্থকদের সামনে খেলার সুযোগ ছিল না। কিছু মানুষের কঠোর পরিশ্রমের জন্য পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে। সরকার এবং পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড ইতিবাচক এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বিভিন্ন দেশের লিগে খেলতে গিয়ে আমাদের ছেলেরাও অন্য দেশের ক্রিকেটারদের বুঝিয়েছে। সকলের সহযোগিতাতেই পাকিস্তানে আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু করা গিয়েছে। সারা বিশ্বকে একটাই বার্তা দিতে চাই। আমাদের দেশের মানুষ ক্রীড়াপ্রেমী। আমরা পাকিস্তানের মাটিতেই ক্রিকেট খেলতে এবং দেখতে চাই।’’
২০০৯ সালে পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য ছিলেন আফ্রিদি। ২০০৭ সালের প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রতিযোগিতার সেরা ক্রিকেটার হয়েছিলেন ৪৫ বছরের প্রাক্তন অলরাউন্ডার। এ বারের বিশ্বকাপে বাবর আজ়মের দলের পারফরম্যান্সে খুশি আফ্রিদি। তাঁর মতে, এই দলকে ধরেই আগামী দিনের পরিকল্পনা করা উচিত। তাতেই সাফল্য আসবে বলে মনে করেন প্রাক্তন ক্রিকেটার। আফ্রিদি বলেছেন, ‘‘আমি বেশি কাটাছেঁড়ার পক্ষে নই। দলে অভিজ্ঞ কোচরা রয়েছেন। অভিজ্ঞ মেন্টর রয়েছেন। আমাদের লক্ষ্য স্থির করে এগোতে হবে।’’