রোহিত, কোহলিদের আইপিএলে খেলার প্রসঙ্গে কথা বললেন দ্রাবিড়। ফাইল ছবি
চোট না পেলে ভারতের প্রথম সারির ক্রিকেটাররা আইপিএলে খেলবেনই। নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় এক দিনের ম্যাচের আগে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন কোচ রাহুল দ্রাবিড়। পাশাপাশি তাঁর আশ্বাস, বিরাট কোহলি বা রোহিত শর্মার মতো সিনিয়র ক্রিকেটারের ওয়ার্কলোডের ব্যাপারটিও মাথায় রাখা হবে।
কিছু দিন বোর্ডের একটি বৈঠকে বলা হয়েছিল, বিশ্বকাপের বাছাই তালিকায় থাকা ক্রিকেটারদের ওয়ার্কলোড আইপিএলে নজরে রাখা হবে। সেই কাজে সহায়তা করবে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমি। সেই প্রসঙ্গেই এ দিন দ্রাবিড় বলেছেন, “আইপিএলের সময় এনসিএ এবং আমাদের চিকিৎসক দল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবে। ওদের জিজ্ঞাসা করবে কোনও ক্রিকেটারের চোট বা অন্য কিছু সমস্যা রয়েছে কিনা। যদি সে রকম কোনও সমস্যা থাকে, তা হলে সেই ক্রিকেটারকে আইপিএল না খেলতে দেওয়ার অধিকার বোর্ডের রয়েছে।”
দ্রাবিড়ের সংযোজন, “আইপিএলও একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতা। তাই ফিট থাকলে ক্রিকেটারদের সেখানে খেলতে দেওয়া যেতেই পারে। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে আইপিএল বোর্ডের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। নির্দিষ্ট এক জন ক্রিকেটার টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে কেমন খেলছে, সেটা জানার জন্য তাঁকে আইপিএলে খেলতে দেওয়া দরকার।”
টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের বিশ্রাম নিয়েও কথা বলেছেন দ্রাবিড়। ভারতের কোচের মতে, অস্ট্রেলিয়া সিরিজ়ের কথা মাথায় রাখলে এই বিশ্রাম দরকারি। তাঁর কথায়, “সাদা বলের ক্রিকেটে যখন যে ফরম্যাট অগ্রাধিকার পাবে, সেই ফরম্যাটেই খেলুক প্রথম সারির ক্রিকেটাররা। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠতে গেলে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ় গুরুত্বপূর্ণ। সে কারণেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর একটি সাদা বলের ফরম্যাটেই জোর দিতে চেয়েছি। এক দিনের ক্রিকেটে বিরাট ছ’টা ম্যাচেই খেলেছে। ওকে এবং রোহিত-সহ বাকিদের বিশ্রাম দেওয়া দরকার, যাতে ২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় শিবিরে তরতাজা হয়ে যোগ দিতে পারে।”
দ্রাবিড় মুখ খুলেছেন ওয়ার্কলোড নিয়ন্ত্রণ নিয়েও। বলেছেন, “ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট এখনকার ক্রিকেটে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটা নিয়ে আমাদের ভাবনাচিন্তা সর্বক্ষণ চলছে। আপনারা হয়তো বলবেন টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে যাদের বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে (রোহিত, কোহলি, কেএল রাহুল) সেটাকেই ওয়ার্কলোড নিয়ন্ত্রণ বলে। কিন্তু চোট নিয়ন্ত্রণ আর ওয়ার্কলোড নিয়ন্ত্রণ দুটো আলাদা বিষয়।”
দ্রাবিড়ের ব্যাখ্যা, “দুটো জিনিসের মধ্যে একটা ভারসাম্য রাখা দরকার। যে পরিমাণ ক্রিকেট আমরা খেলি, তাতে কোনটা অগ্রাধিকার সেটা মাথায় রাখতে হবে। বড় প্রতিযোগিতায় বড় ক্রিকেটাররা যাতে খেলতে পারে সেটাও মাথায় রাখতে হবে।”