ছবি: সিএসকে
বয়স ৪১। আন্তর্জাতিক এবং ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন আগেই। খেলেন শুধু আইপিএল। তবু তরুণ ক্রিকেটারদের সঙ্গে সমানে সমানে পাল্লা দেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ক্রিকেটীয় দক্ষতা বা বুদ্ধিতে কম যান না। ধরে রেখেছেন ফিটনেসও। কী ভাবে সম্ভব এই বয়সেও এমন ফিট থাকা? আইপিএল শুরুর আগে ধোনির ফিটনেসের গোপন কথা জানিয়েছেন রবীন উথাপ্পা।
এ বারের আইপিএলেও চেন্নাই সুপার কিংসকে নেতৃত্ব দেবেন ধোনি। উথাপ্পার দাবি, ধোনির ফিটনেসের অন্যতম কারণ তাঁর পরিমিত খাদ্যাভ্যাস। কী খান তিনি? প্রাক্তন সতীর্থ জানিয়েছেন সে কথা। উথাপ্পা বলেছেন, ‘‘একটা সময় আমরা কয়েক জন ঘনিষ্ঠ বন্ধু এক সঙ্গে খেলতাম। ধোনি এবং আমি ছাড়াও সেই দলে ছিল সুরেশ রায়না, ইরফান পাঠান, আরপি সিংহ, পীযূষ চাওলা, মুনাফ পটেল। আমরা একসঙ্গে খেতে যেতাম। প্রচুর খাবার অর্ডার করতাম। ধোনি সব কিছু খেত না। ও খাওয়ার ব্যাপারে অনড় মনোভাব নিয়ে চলত। খুব মেপে খেত।’’
কী খেতেন ধোনি? উথাপ্পা জানিয়েছেন, বাটার চিকেন খাওয়া হলে বেশির ভাগ সময়ই ধোনি মাংস খেতেন না। শুধু ঝোল খেতেন। সব সময় রুটিও খেতেন না। তিনি বলেছেন, ‘‘আমরা হয়তো ডাল মাখনি, বাটার চিকেন, জিরা আলু, কপির তরকারি এবং রুটি আনালাম। ধোনি শুধু বাটার চিকেনের ঝোল দিয়ে রুটি খেত। আর মাংস খেলে রুটি খেত না। অন্য কিছু মুখেও তুলত না। খাওয়ার ব্যাপারে একটু অদ্ভুত ছিল। ওর ইচ্ছা বা মাপের বেশি কিছুই খাওয়ানো সম্ভব হত না।’’
ভারতীয় দলের পাশাপাশি চেন্নাইয়ের হয়েও ধোনির সঙ্গে খেলেছেন উথাপ্পা। বয়সে তিনি ধোনির থেকে বছর চারেকের ছোট। তবু উথাপ্পার সঙ্গে ধোনি মিশতেন বন্ধুর মতো। অধিনায়ক বা বয়সে বড় হলেও সতীর্থদের সঙ্গে তফাত করতেন না। উথাপ্পা বলেছেন, ‘‘যে বার প্রথম চেন্নাইয়ের হয়ে খেললাম, সে বার শিবিরে গিয়ে দেখলাম সবাই ওকে মাহি ভাই বলে ডাকছে। ধোনির কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম, আমি তোমায় অন্যদের মতো মাহি ভাই বলেই ডাকব? উত্তরে আমাকে বলেছিল, ‘তোর যা খুশি তাই বলে ডাক। এ সব নিয়ে আমি ভাবি না। তুই বরং শুধু মাহি বলেই ডাক।’’’
ধোনির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ভাবে দীর্ঘ দিন মেশার সুযোগ পেয়েছেন উথাপ্পা। মাঠের মতো বাইরেও ধোনিকে দেখেছেন কাছ থেকে। তাঁকে সব থেকে বেশি আকৃষ্ট করত খাওয়ার ব্যাপারে ধোনির সংযম।