আইপিএল নিলামের পর কেটে গিয়েছে এক সপ্তাহ। কোনও দলের মুখে হাসি, কোনও দলের একটু আক্ষেপ। তবে প্রত্যেকেই নিজের দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। প্রত্যেকেই নিজেদের খেতাব জয়ের দাবিদার ভাবছেন।
তবে এ বারের আইপিএল-এর লক্ষণীয় ঘটনা হল, অবিক্রিত থেকে গিয়েছেন নামীদামী ক্রিকেটার। সেই তালিকায় যেমন অভিজ্ঞরা রয়েছেন, তেমনই গত বার দলকে ফাইনালে তোলা অধিনায়কও রয়েছেন। আইপিএল-এর অবিক্রিত একাদশের খানাতল্লাশি করল আনন্দবাজার অনলাইন।
ক্রিস লিন: তালিকায় প্রথম নামই তাঁর। অস্ট্রেলিয়ার এই ব্যাটার টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে মারকুটে বলে পরিচিত। বিভিন্ন দেশে ঘুরে ঘুরে টি-টোয়েন্টি লিগ খেলেন তিনি। খেলেছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সেও। এখনও পর্যন্ত ৪২টি ম্যাচে ১৩২৯ রান করেছেন তিনি। কিন্তু এ বার দল পাননি।
অ্যারন ফিঞ্চ: ওপেনার হিসেবে লিনকে সঙ্গত দিতে পারেন তাঁরই দেশের ফিঞ্চ। তিনি অস্ট্রেলিয়ার সীমিত ওভারের দলের অধিনায়ক। বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, দিল্লি, পঞ্জাব, মুম্বই সব দলের হয়েই খেলেছেন। ৮৫টি ম্যাচে ২০০৫ রান রয়েছে। এ বার তাঁকে কেউ কেনেনি।
সুরেশ রায়না: আইপিএল-এর ইতিহাসে অন্যতম বর্ণময় চরিত্র। অভিজ্ঞতা বা পারফরম্যান্স, দুটোতেই অনেককে টেক্কা দিতে পারেন। ২০৫ ম্যাচে ৫৫২৮ রান রয়েছে তাঁর, যা তালিকায় রয়েছে চার নম্বরে। বেশি সময় খেলেছেন চেন্নাই সুপার কিংসে। কিন্তু তাঁকে এ বার কোনও দল কেনেনি।
অইন মর্গ্যান: গত বার কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ফাইনালে তুলেছিলেন। তাঁর আগের মরসুমে অর্ধেক সময় অধিনায়ক ছিলেন। কিন্তু ব্যাট হাতে পারফরম্যান্স মোটেও ভাল নয়। ফলে এ বার তাঁকে কিনতে কেউ আগ্রহ দেখায়নি।
দাউইদ মালান: যে কোনও দলেই মাঝের সারিতে ভরসা হতে পারতেন এই ব্যাটার। ইনিংসের শেষের দিকে চালিয়ে খেলায় অভ্যস্ত তিনি। উপরের দিকেও খেলতে পারেন। স্কোরবোর্ডে বড় রান তুলতে অন্যতম ভূমিকা নিতে পারেন। কিন্তু কোনও দলই তাঁকে বিবেচনার মধ্যে আনেনি।
শাকিব আল হাসান: সম্ভবত সব থেকে বড় চমক তাঁর অনুপস্থিতি। অনেকেই বলছেন, তাঁকে পুরো মরসুম পাওয়া যাবে না বলে কোনও দল নেয়নি। কিন্তু যেটুকু খেলতেন, তাতেই কামাল করতে পারতেন শাকিব। ব্যাট এবং বল, দুয়েই অবদান রাখতে পারেন। সীমিত ওভারে তাঁর পারফরম্যান্স এবং র্যাঙ্কিং, দুটোই তাঁর প্রমাণ দিচ্ছে।
অমিত মিশ্র: প্রবীণতম এই স্পিনার আইপিএল-এ নিজেকে সসম্মানে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ১৫৪ ম্যাচে ১৬৬ উইকেট রয়েছে তাঁর। দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খেলেছেন দীর্ঘ দিন। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়েও দেখা গিয়েছে। তবে এ বার তিনি কোনও দল পেলেন না।
ইশান্ত শর্মা: ভারতের টেস্ট দল থেকে বাদ পড়েছেন। আইপিএল-এও তিনি দল পেলেন না। একাধিক দলের হয়ে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। সাম্প্রতিক সময়ে অবশ্য একেবারেই ভাল খেলতে পারেননি। হয়তো সে কারণেই তরুণরা টপকে গিয়েছেন তাঁকে।
তাবরেজ শামসি: যদিও তিনি আইপিএল-এ এখনও বেশি ম্যাচ খেলেননি। কিন্তু টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে তাঁর রেকর্ড খুব একটা খারাপ নয়। এই ফরম্যাটে রান চেপে রাখতে তিনি ভালই পারেন।
অ্যান্ড্রু টাই: পঞ্জাব, রাজস্থানের হয়ে আইপিএল-এ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এখনও পর্যন্ত ২৭টি ম্যাচে ২৫টি উইকেট নিয়েছেন। ডেথ ওভারে বোলিং করতে তিনি সিদ্ধহস্ত। কিন্তু আইপিএল-এ দল মেলেনি তাঁর।
কেন রিচার্ডসন: রাজস্থান, বেঙ্গালুরুর হয়ে খেলেছেন তিনি। আইপিএল-এ ১৫ ম্যাচে ১৯ উইকেট নিয়েছেন। ইনিংসের শুরুতে বোলিং করে জুটি ভাঙতে পারদর্শী তিনি। তবে সাম্প্রতিক ছন্দের বিচারেই হয়তো তাঁকে নিতে আগ্রহী হয়নি কোনও দল।