এ বারের আইপিএলের প্রথম চারে উঠতে পারেননি ধোনিরা ফাইল চিত্র
আইপিএলের ইতিহাসে মাত্র দু’বার প্লে-অফে উঠতে পারেনি চেন্নাই সুপার কিংস। ২০২০ সালে প্রথম বার প্লে-অফে উঠতে ব্যর্থ হয়েছিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনিরা। এ বার তাঁরা শেষ করেছেন নবম স্থানে। একের পর এক ম্যাচ হেরেছেন। এই পরিস্থিতিতে যে কোনও দলের সাজঘর থমথমে থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু চেন্নাইয়ের ছবিটা আলাদা। প্রতিযোগিতায় ব্যর্থ হলেও হতাশ নন ধোনিরা। বলা ভাল, হতাশ হতে চান না তাঁরা। কারণ, হতাশ হলে দলের ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস কমে যায়। তার ফায়দা তুলতে পারে প্রতিপক্ষ। তাই সব সময় মাথা উঁচু করে হাঁটতে চান তাঁরা।
এ বারের আইপিএলে চেন্নাইয়ের হয়ে খেলেছেন ডেভন কনওয়ে। নিউজিল্যান্ডের এই ব্যাটার কাছ থেকে দেখেছেন ধোনিকে। তাঁর সঙ্গে সাজঘর ভাগ করে নিয়েছেন। ধোনিকে দেখে শিখেছেন, কী ভাবে ব্যর্থতা সামলাতে হয়। কনওয়ে বলেন, ‘‘হারলেও আমরা কোনও দিন সাজঘর থেকে হতাশ মুখে বার হইনি। সবসময় মাথা উঁচু করে হাসি মুখে মাঠে নেমেছি। কারণ, হতাশা আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দেয়। তার প্রভাব পরের ম্যাচেও পড়তে পারে। প্রতিপক্ষ ফায়দা তুলতে পারে। সেটা করি না বলেই আইপিএলের অন্যতম সফল হল চেন্নাই।’’
আইপিএলের শুরুর দিকে খারাপ খেললেও শেষ কয়েকটি ম্যাচে কিছুটা ছন্দে ফিরেছিল সিএসকে। একটা সময় খাতায়-কলমে প্লে-অফে ওঠার সুযোগ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে হয়নি। এই প্রসঙ্গে কনওয়ে বলেন, ‘‘প্লে-অফে ওঠার চেষ্টা করেছিলাম। নিজেদের সাধ্যমতো খেলেছি। কিন্তু কয়েকটা ম্যাচে জয়ের কাছে গিয়েও হারতে হয়েছে। ধারাবাহিকতা দেখাতে পারিনি। তাই প্রথম চারে উঠতে পারিনি। আগামী মরসুমে সমর্থকদের আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা করব।’’
এ বারের আইপিএলে ১৪ ম্যাচের মধ্যে মাত্র চারটি ম্যাচে জিতেছে চেন্নাই। আট পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় ন’নম্বরে শেষ করেছে তারা। দশম স্থানে থাকা মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের পয়েন্ট সমান হলেও রানরেট বেশি থাকায় এক ধাপ উপরে শেষ করেছেন ধোনিরা।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।