আইপিএল কোথায় হবে? ফাইল ছবি
এ বারের আইপিএল কি ভারতে হওয়া সম্ভব? না হলে কোথায় হবে? এর উত্তর হয়ত খুব শিঘ্রই পাওয়া যাবে। এর জবাব পাওয়ার জন্য শনিবার আইপিএল-এর ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের সঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কর্তাদের এবং আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের ভার্চুয়াল বৈঠকে বসার কথা।
দু’টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্যই এই বৈঠক ডাকা হয়েছে। প্রথমত, কোভিডের জন্য যদি শেষ পর্যন্ত আইপিএল ভারতে করা না যায়, তা হলে বিকল্প কী ব্যবস্থা করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। দ্বিতীয়ত, মিডিয়াস্বত্ব নিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের অবহিত করা। ২০২৩ থেকে শুরু করে পরবর্তী পাঁচ বছরে এই মিডিয়াস্বত্বের উপরেই আইপিএল-এর আর্থিক দিকটি অনেকটাই নির্ভর করছে।
একটি ইংরাজি দৈনিকের খবর অনুযায়ী, এ বারের আইপিএল ভারতেই করার আপ্রাণ চেষ্টা করা হবে। কোভিডের কারণে তা সম্ভব না হলে আইপিএল বিদেশে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। এর জন্য দৌড়ে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং শ্রীলঙ্কা। সূত্রের খবর, ভারতে আইপিএল না হলে দক্ষিণ আফ্রিকাই প্রথম পছন্দ বোর্ড কর্তাদের।
আইপিএল শুরু হওয়ার পর ২০০৯ সালে দ্বিতীয় বছরেই ভোটের জন্য প্রতিযোগিতা দক্ষিণ আফ্রিকায় করতে হয়েছিল। সেই সাফল্যে খুশি বোর্ড কর্তারা। তা ছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরশাহির ক্রিকেট বোর্ডকে ২০২০ সালের আইপিএল করার জন্য ১০০ কোটি টাকা এবং ২০২১ সালের আইপিএল-এর দ্বিতীয় অংশ করার জন্য ৫০ কোটি টাকা দিয়েছিল বিসিসিআই। এ বার আর অত টাকা খরচ করতে চাইছে না বোর্ড। তা ছাড়া এ বার আইপিএল-এ দুটি নতুন দল যুক্ত হচ্ছে। ফলে ম্যাচের সংখ্যা বাড়বে। আমিরশাহিতে মাত্র তিনটি মাঠ রয়েছে। তিনটি মাঠে এতগুলি ম্যাচ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে করা কঠিন। গত বার শারজার মাঠ নিয়েও খুশি নন বোর্ড কর্তারা। প্রায় সব ম্যাচেই টস অনেকটাই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছিল। টস হওয়ার পরেই বোঝা যাচ্ছিল ম্যাচে কী হতে চলেছে। এটা পছন্দ নয় বিসিসিআই কর্তাদের।
কর্তারা এখনও প্রবল ভাবে চাইছেন দেশেই আইপিএল করতে। সে ক্ষেত্রে মুম্বই, নবি মুম্বই এবং পুণেতে রাউন্ড রবিন লিগের ম্যাচগুলি হতে পারে। প্লে-অফ এবং ফাইনাল হতে পারে আমদাবাদে। শনিবারের বৈঠকে এই নিয়ে আলোচনা হবে। চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত এ দিন নেওয়া হবে না। হয়ত ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে এই নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে।