ভারতীয় দলের অনুশীলনের মুহূর্ত। ছবি: সমাজমাধ্যম।
গত কয়েক বছর ধরেই ভারতীয় দলের অনুশীলনে বিশেষ ধরনের প্রস্তুতি দেখা যায়। কোনও ম্যাচের একটি কাল্পনিক পরিস্থিতি তৈরি করে সেই অনুযায়ী অনুশীলন করেন ক্রিকেটারেরা। গৌতম গম্ভীরের আমলেও তার ব্যতিক্রম নেই। তাই প্রতিপক্ষের শক্তি অনুযায়ী বোলার নির্বাচন করে অনুশীলন চলছে। শনিবারের অনুশীলনে তেমনই দেখা গেল পঞ্জাবের গুরনুর ব্রারকে। বাংলাদেশের নাহিদ রানাকে সামলাতে তাঁকে নেটে ডাক হয়েছে।
বাংলাদেশের নাহিদের উচ্চতা ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি। ফলে অনেক উচ্চতা থেকে বল ছাড়েন তিনি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে পাঁচটি উইকেট নিয়েছেন। বেশি উচ্চতা থেকে ছাড়ার কারণে তাঁর বলের লেংথ এবং বাউন্সও আলাদা হয়। সেটারই মোকাবিলা করতে চাইছে ভারত।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চেন্নাইয়ের পিচের চরিত্রে বদল হতে পারে। সাধারণত চিদম্বরম স্টেডিয়ামে ঘূর্ণি উইকেট হয়। তবে এ বার যশপ্রীত বুমরা এবং মহম্মদ সিরাজের কথা মাথায় রেখে এমন পিচ তৈরি করা হতে পারে যেখানে পেসার এবং স্পিনার দু’ধরনের বোলারই সুবিধা পাবেন। ফলে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারেন বাংলাদেশের নাহিদও। তাঁরই মোকাবিলায় আনা হয়েছে গুরনুরকে।
গুরনুর এখনও পর্যন্ত প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে পাঁচটি ম্যাচ খেলেছেন। উল্লেখযোগ্য সাফল্য নেই। গত বছর পঞ্জাব কিংসেও ছিলেন। কিন্তু ৬ ফুট ৪.৫ ইঞ্চি উচ্চতা হওয়ার কারণে তাঁকে চার দিনের শিবিরে ডাকা হয়েছে। লম্বা চওড়া হওয়ায় তিনি পিচ থেকে বাউন্স আদায় করে নিতে পারেন। গতিও রয়েছে। এ দিন বোলিং কোচ মর্নি মর্কেলকে দেখা গিয়েছে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে।
নেটে এসেছেন মুম্বইয়ের অফস্পিনার হিমাংশু সিংহ। তাঁর বোলিং অ্যাকশন অনেকটা রবিচন্দ্রন অশ্বিনের মতোই। অনুশীলনের দ্বিতীয় দিন আকাশ দীপ এবং যশ দয়ালকে অনেক ক্ষণ বল করতে দেখা যায়। যদিও প্রথম টেস্টে তাঁদের খেলা সম্ভাবনা কম।
রবিবার চেন্নাইয়ে পৌঁছবে বাংলাদেশ। তাদের জন্য কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।