ভুবনেশ্বর কুমার। —ফাইল চিত্র।
কেরিয়ারের সেরা বোলিংটা করলেন লাল বলের ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনের পর। ২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ভারতের জার্সিতে টেস্ট খেলেছিলেন ভুবনেশ্বর কুমার। ২১ টেস্টে ৬৩ উইকেট নেওয়া ভারতীয় এর পর ছ’বছর কোনও লাল বলের ক্রিকেট খেলেননি। ফিরলেন উত্তরপ্রদেশের হয়ে কানপুরে। আর সেই প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে নিলেন ৮ উইকেট। যা তাঁর কেরিয়ারে প্রথম বার।
শুক্রবার বাংলার প্রথম সারির ব্যাটারদের ক্রিজে থাকাই কঠিন করে দিয়েছিলেন ভুবনেশ্বর। তাঁর সুইং বুঝতে না পেরে একের পর এক উইকেট দেন সুদীপ ঘরামিরা। অভিজ্ঞ অনুষ্টুপ মজুমদারের ব্যাট এবং পায়ের মাঝখান দিয়ে বল ঢুকিয়ে দেন ভুবনেশ্বর। বোল্ড হয়ে যান বাংলার বহু যুদ্ধের নায়ক। শুক্রবার ৫ উইকেট নিয়েছিলেন ভুবনেশ্বর। শনিবার নিলেন আরও তিনটি। মোট ৮ উইকেট ভুবির।
৪১ রান দিয়ে ৮ উইকেট নিলেন ভুবনেশ্বর। রঞ্জির ইতিহাসে এর আগে ইনিংসে ১০ উইকেট নিয়েছিলেন দু’জন। বাংলার প্রেমাংশু চট্টোপাধ্যায় এবং রাজস্থানের প্রদীপ সুন্দরমের সেই কীর্তি ছুঁতে পারলেন না ভুবনেশ্বর। মুম্বইয়ের অঙ্কিত চবন, রেলওয়েজের হায়দার আলি এবং গোয়ার ফয়জল শেখ রঞ্জিতে এক ইনিংসে ৯ উইকেট নিয়েছিলেন। তাঁদের পরেই রইল ভুবনেশ্বরের এই বোলিং। তিনি ৮ উইকেট নিলেন ৪১ রান দিয়ে।
ভারতীয় দলে যশপ্রীত বুমরা, মহম্মদ সিরাজ এবং মহম্মদ শামি নিজেদের জায়গা পাকা করে রেখেছেন। কিন্তু চতুর্থ পেসারের জায়গা নেওয়ার লড়াই চলছে মুকেশ কুমার, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, আবেশ খানদের মধ্যে। ছ’বছর পর লাল বলের ক্রিকেটে ফিরে ভুবনেশ্বর তাঁদের উপর চাপ বৃদ্ধি করলেন।
গত বছর জুলাই মাসে সমাজমাধ্যমে নিজের ক্রিকেটার পরিচয় মুছে দিয়েছিলেন ভুবনেশ্বর। সেই সময় অনেকে মনে করেছিলেন ভারতীয় পেসার হয়তো অবসর নেবেন। কিন্তু সেই সব আলোচনা উড়িয়ে দিয়ে লাল বলের ক্রিকেটে ফিরে এলেন ভুবি। আর প্রত্যাবর্তনেই তুলে নিলেন ৮ উইকেট। ৩৩ বছরের ভুবি বুঝিয়ে দিলেন এখনও অনায়াসে বল সুইং করাতে পারেন।