যশস্বী জয়সওয়াল। ছবি: রয়টার্স।
অভিষেক টেস্টে করেছিলেন শতরান। এ বার দ্বিশতরানও করে ফেললেন যশস্বী জয়সওয়াল। বিশাখাপত্তনমে ভারতীয় দলকে একাই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তরুণ ওপেনার। তাঁর ব্যাটে ভর করেই প্রথম ইনিংসে ৩৯৬ রান করল ভারত। টেস্টে জীবনের প্রথম দ্বিশতরান করলেন যশস্বী।
উত্তরপ্রদেশের ভাদোহিতে জন্ম যশস্বীর। যদিও ক্রিকেট খেলার স্বপ্ন চোখে নিয়ে চলে গিয়েছিলেন মুম্বইয়ে। সেখানেই ক্রিকেট পাঠ শুরু। মুম্বইয়ের হয়ে রঞ্জিও খেলেছেন তরুণ ওপেনার। আইপিএলেও রান করেছেন। ভারতের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপেও নজর কেড়েছিলেন যশস্বী। এখন তাঁর ব্যাট ভারতীয় টেস্ট দলের ভরসা হয়ে উঠছে। লাল বলে রোহিত শর্মাদের বড় অস্ত্র এখন যশস্বী।
শুক্রবার ছক্কা মেরে শতরান করেছিলেন যশস্বী। শনিবার দ্বিশতরান করলেন চার মেরে। তার আগের বলটাতেই ছক্কা মেরেছিলেন। শতরান বা দ্বিশতরানের কাছে পৌঁছে অনেক ব্যাটারকেই দেখা যায় সাবধানী হতে। কিন্তু ২২ বছরের তরুণ ওপেনার ডাকাবুকো। তিনি বেশি অপেক্ষা করার পক্ষপাতী নন। বাউন্ডারি মেরেই মাইলফলক পার করেন যশস্বী।
শনিবার যশস্বী থামলেন ২০৯ রানে। দলের অর্ধেকের বেশি রান করেছেন তিনি। দ্বিশতরান করে লাফিয়ে ওঠেন যশস্বী। গ্লাভস খুলে দু’হাত ঠোঁট ছুঁইয়ে আকাশের দিকে চুমু ছুড়ে দিলেন। ভারতীয় দলের সকলকে দেখা গেল সাজঘরে দাঁড়িয়ে হাততালি দিতে। যশস্বী না থাকলে যে বিপদ হত, তা জানেন রোহিতেরা। বাকিদের কেউ যে অর্ধশতরানও করতে পারেননি।
গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে টেস্ট অভিষেক হয় যশস্বীর। অভিষেক ম্যাচে শতরানের পর দ্বিতীয় ম্যাচে করেছিলেন অর্ধশতরান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে পরের দু’টি ম্যাচে রান না পেলেও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে ৮০ রান করেন যশস্বী। সেই ম্যাচেও শতরান করতে পারতেন। কিন্তু জো রুটের বলে তাঁর হাতেই ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন। দ্বিতীয় টেস্টে কিছু সুযোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু ভাগ্য যশস্বীর সঙ্গে ছিল। দ্বিশতরান করেই থামলেন তিনি।
যশস্বী ছাড়া বাকি ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান শুভমন গিলের। তিনি ৩৪ রান করেন। রজত পাটীদার করেন ৩২ রান। ২৭ রান করেন শ্রেয়স আয়ার এবং অক্ষর পটেল। রবিচন্দ্রন অশ্বিন করেন ২০ রান। ১৭ রান শ্রীকর ভরতের। অধিনায়ক রোহিত শর্মা আউট ১৪ রানে। তাঁদের মধ্যে কেউ রান পেলে ভারতের ইনিংস আরও লম্বা হতে পারত। কিন্তু ইংল্যান্ডের বোলারেরা সেটা হতে দিলেন না।
অভিজ্ঞ জেমস অ্যান্ডারসন দেখালেন পিচ থেকে সাহায্য না পেলেও কী ভাবে উইকেট তুলতে হয়। তিনি নিলেন ৩ উইকেট। অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা শোয়েব বশিরও ৩ উইকেট নিয়েছেন। তরুণ রেহান আহমেদ নিয়েছেন ৩ উইকেট। একটি উইকেট নেন টম হার্টলি। ইংল্যান্ডের এখন লক্ষ্য দ্রুত ভারতের ৩৯৬ রান পার করে লিড নেওয়া।