ঈশান কিশন এবং শ্রেয়স আয়ার। —ফাইল চিত্র।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড কিছুটা নরম হল দুই ‘অবাধ্য’ ক্রিকেটার শ্রেয়স আয়ার এবং ঈশান কিশনের প্রতি। ঘরোয়া ক্রিকেটে না খেলার জন্য বার্ষিক চুক্তি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল তাঁদের। এ বার জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির (এনসিএ) হাই পারফরম্যান্স মনিটরিং প্রোগ্রামে যুক্ত করা হয়েছে।
গত মরসুমে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেননি ঝাড়খণ্ডের ঈশান। প্রথমে না খেললেও চুক্তি থেকে বাদ পড়ার পর খেলেছিলেন মুম্বইয়ের শ্রেয়স। নির্বাচক প্রধান অজিত আগরকর তাঁদের বার্ষিক চুক্তি থেকে বাদ দিয়ে দেন। তাঁর প্যানেলই আবার এনসিএ-র হাই পারফরম্যান্স মনিটরিং প্রোগ্রামে যুক্ত করেছে। এই প্রোগ্রামে আগামী মরসুমে ঘরোয়া ক্রিকেটে যে ৩০ জনের দিকে নজর রাখা হবে বলে ঠিক হয়েছে, সেই তালিকায় রয়েছেন শ্রেয়সেরা।
বোর্ডের এক কর্তা বলেন, “ঈশান বা শ্রেয়সের উপর বোর্ডের কোনও রাগ নেই। ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রতি যদি ওদের শ্রদ্ধা দেখায়, নিজ নিজ রাজ্যের হয়ে খেলতে নামে এবং ভাল খেলে তা হলে আবার বার্ষিক চুক্তিতে ফেরানো হতে পারে তাদের। এনসিএ-র হাই পারফরম্যান্স মনিটরিং প্রোগ্রামে যুক্ত করা মানে ওই দুই ক্রিকেটারকে বুঝিয়ে দেওয়া যে, তারা নির্বাচকদের নজরে রয়েছে।”
ওই তালিকায় রয়েছেন মুশির খান। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ভাল খেলেছিলেন তিনি। মুম্বইয়ের হয়ে রঞ্জিতেও রান করেন। তাঁর দাদা সরফরাজ খান ইতিমধ্যেই দেশের হয়ে খেলেছেন। মুশিরকে আগামী দিনে হয়তো ভারত এ দলের হয়ে খেলতে দেখা যাবে। ১৯ বছরের তরুণ এই ক্রিকেটার মুম্বইয়ের রঞ্জি জয়ের নেপথ্যে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন।
গত মরসুমে ঘরোয়া ক্রিকেটে ভাল খেলা ক্রিকেটারদের রাখা হয়েছে এই ৩০ জনের তালিকায়। তাঁদের নিয়ে এনসিএ ক্যাম্পও করতে পারে। শ্রেয়স, ঈশান, মুশির ছাড়াও রয়েছেন মায়াঙ্ক যাদব, উমরান মালিক, আবেশ খান, কুলদীপ সেন, হর্ষিত রানা, খলিল আহমেদ, তুষার দেশপাণ্ডে, রিয়ান পরাগ, আশুতোষ শর্মা, সাই সুদর্শন, দেবদত্ত পাড়িক্কল, সাই কিশোর, শামস মুলানি, তানুশ কোটিয়ান এবং পৃথ্বী শ-এর মতো ক্রিকেটার।